Pallavi Dey’s Death: প্রাক্তন ও বর্তমান, পল্লবীর দুই প্রেমিকের ওপরই নজর ছিল ঐন্দ্রিলার, তদন্তে উঠে আসছে

Pallavi Dey's Death: ঘনিষ্ঠ সূত্র অবশ্য অন্য কথা বলছে। অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের মেয়ে ঐন্দ্রিলা। পারিবারিক দোকান রয়েছে, তাতেই সংসার চলে। ঐন্দ্রিলা, রেহান, সাগ্নিক, পল্লবী প্রত্যেকেই ছোটবেলার বন্ধু।

Pallavi Dey's Death: প্রাক্তন ও বর্তমান, পল্লবীর দুই প্রেমিকের ওপরই নজর ছিল ঐন্দ্রিলার, তদন্তে উঠে আসছে
বাঁ দিকের ছবিতে পল্লবী ঐন্দ্রিলার সঙ্গে রেহান (প্রাক্তন প্রেমিক)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2022 | 12:25 PM

কলকাতা: উচ্চাকাঙ্খী, বিলাসবহুল জীবনযাপন, সম্পর্কের টানাপোড়েন, মানসিক চাপ- ফ্যাক্টরগুলি কাজ করছে অভিনেত্রী পল্লবী দে’র অস্বাভাবিক মৃত্যুর নেপথ্যে। গড়ফা থানার পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অন্তত এই দিকগুলিই উঠে এসেছে।  যতই তথ্য সামনে আসছে, ততই জটিল হচ্ছে অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যু তদন্ত। অভিনেত্রীর বাবা নীলু দে যা যা দাবি করছেন, তা রীতিমতো চমকে ওঠার মতো। তাঁর মেয়ে পল্লবী প্রেমিক সাগ্নিককে ২২ লক্ষ টাকা দিয়ে অডি গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন। সেই গাড়ি চেপেই ঘুরে বেরাতেন সাগ্নিক। কলসেন্টারের কাজ করতেন তিনি। সাগ্নিকের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাসে ১৮-১৯ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করতেন তিনি। কিন্তু অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। তাঁর খরচের বেশিরভাগটাই বহন করতেন পল্লবী।

সম্প্রতি সাগ্নিককে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে মোবাইল কিনে দিয়েছিলেন পল্লবী। তিনটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট করেছিলেন এক সঙ্গে। তার থেকে বেশিরভাগ খরচ করতেন সাগ্নিক। জন্মদিনে দেড় লক্ষ টাকার ল্যাপটপ সাগ্নিককে উপহারও দিয়েছিলেন পল্লবী। অভিনেত্রীর পরিবারের দাবি, এরপরেও সাগ্নিক ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াচ্ছিলেন।

অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, ইদানীং পল্লবী যখন শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতেন, ফাঁকা ফ্ল্যাটে সাগ্নিকের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন ঐন্দ্রিলা। সেটা জানতেও পেরেছিলেন পল্লবী। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সাগ্নিকের ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি পল্লবী। অশান্তি হত প্রায়। এদিকে বান্ধবী ঐন্দ্রিলাকেও ভালবাসত পল্লবী। বান্ধবীর সঙ্গে প্রেমিকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাঁর বন্ধুত্বেও কি প্রভাব ফেলছিল? প্রশ্ন উঠছে সেটাও। মেয়ের মৃত্যুর জন্য ঐন্দ্রিলা ও সাগ্নিককেই দায়ী করেছেন পল্লবীর বাবা। তাঁর অভিযোগ, পল্লবীকে খুন করা হয়েছে।

যদিও ঐন্দ্রিলার দাবি, তাঁকে মিথ্যা ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও মিথ্যা। পল্লবী ভালো বন্ধু ছিল বলে পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন তিনি। ঐন্দ্রিলা জানিয়েছেন, পল্লবীর মাধ্যমেই সাগ্নিকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। কিন্ত সে অর্থে মেলামেশা ছিল না। ওঁদের ফ্ল্যাটে তিনি কোনওদিন যাননি বলেও দাবি করেছেন। মাঝে মধ্যে পল্লবীর সঙ্গে ফোনে কথা হত।

পল্লবী ও রেহান (প্রাক্তন প্রেমিক)

ঐন্দ্রিলা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, কিছুদিন আগে একটা পার্টিতে দেখা হয়েছিল দু’জনের। পল্লবী আর সাগ্নিকের মধ্যে কী হয়েছিল কিংবা ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল কিনা, তা নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। ঐন্দ্রিলার দাবি, পল্লবী বলতেন তিনি লিভ ইন সম্পর্কে ভালো রয়েছেন। এমনকি বিয়ে করারও ভাবনা ছিল তাঁদের। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Pallavi-Dey Death

সাগ্নিকের সঙ্গে পল্লবী

ঘনিষ্ঠ সূত্র অবশ্য অন্য কথা বলছে। অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের মেয়ে ঐন্দ্রিলা। পারিবারিক দোকান রয়েছে, তাতেই সংসার চলে। ঐন্দ্রিলা, রেহান, সাগ্নিক, পল্লবী প্রত্যেকেই ছোটবেলার বন্ধু। পল্লবী অভিনেত্রী হওয়ার আগে নিয়মিত নন্দনে আড্ডা মারতেন তাঁদের সঙ্গে। ঐন্দ্রিলা প্রথমে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টর কাজ করতেন। প্রতি ইভেন্টে ৫০০/১০০০ টাকা করে পেতেন। কখনও কখনও ৭-৮ দিনেরও টানা ইভেন্ট থাকত। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে পরবর্তীকালে রেহানের সম্পর্ক হয়। পরে ব্রেক আপও হয়। এরপর রেহান, পল্লবী, ঐন্দ্রিলা বন্ধুর মতো মিশত। এরপর সাগ্নিকের সঙ্গে পল্লবীর সম্পর্ক হয়। এখন অভিযোগ, ঐন্দ্রিলা নাকি সাগ্নিকের সঙ্গেও মিশত। তাতেই সম্পর্কের জটিলতা। এই সব বিষয়গুলিই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সোমবারই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।