কলকাতা : রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলের বিরোধিতা করে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা। এবার সেই নিয়ে বিধানসভা বিজেপিকে একহাত নিলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভা বুধবার এই সংক্রান্ত প্রস্তাবও আনেন পার্থ বাবু। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি বিরোধী দলের সদস্যরা হাট বাজারের মতো রাজভবন গিয়ে মন্তব্য করছেন। এমনকী, যে বিল পাশ হয়েছে, সেই অনুমোদিত বিল যা… বিধানসভার নিয়ম মেনে গৃহীত হয়েছে তা নিয়েও বলছেন। আইনসভার কিছু জানেন না। আইনসভায় পাশ হয়ে যাওয়ার পরে সেই আইনসভাকে আবমাননা। এই বিল সই না করার জন্য রাজ্যপালকে বলছেন, তার মানে কী?”
পরিষদীয় মন্ত্রী আরও বলেন, “এটা গণতন্ত্রকে বিপন্ন করছে। এই আচরণকে নিন্দা করুন। এটা আইনসভাকে অপমান। এতে শুধু আইনসভা, বিধানসভার গরিমাই নষ্ট হচ্ছে না, এতে আইনসভার সদস্যরাও নিজেদের পদের অমর্যাদা করছেন। এই সভায় এই আচরণকে নিন্দা করছি।” পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রস্তাবে সহমত বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের কাছে গিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করা অত্যন্ত অশোভনীয়। আপনারা বিধানসভায় যা করছেন, তাতে অসৌজন্য দেখা যাচ্ছে। শোভনীয় নয়।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলেই রাজভবনে গিয়ে এক প্রস্থ নালিশ জানিয়ে এসেছেন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দুর নেতৃত্বে পদ্ম বিধায়কদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলার পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেছিলেন, “আমি বিলগুলি খুব মন দিয়ে পড়ব। কোনও পক্ষপাতিত্ব করব না। যদি গ্রহণ করার হয়, করব। নয়তো, গ্রহণ করব না। কিন্তু কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না। আচার্য বিল সংক্রান্ত বিষয়টি আমি প্রথমে খতিয়ে দেখব। দেখব কোথাও সংবিধানকে উপেক্ষা করে এই ধরনের বিল আনা হয়েছে কি না। আমাদের সংবিধান খুব শক্তিশালী। সেই সংবিধানকে উপেক্ষা করে যদি বিল আনা হয়, তাহলে আমি গ্রহণ করব না।”
সাম্প্রতিক অতীতে বার বার বিজেপির তরফ থেকে আচার্য বিলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে। এমনকী অতীতে রাজ্যপালের উদ্দেশে এমন কথাও বলতে শোনা গিয়েছে, যাতে বিলটি দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি যে রাজ্যের শাসক শিবির মোটেও ভালভাবে দেখছে না, তা এই প্রস্তাব থেকেই স্পষ্ট।