Partha Chatterjee in Court: ‘রোড অ্যাক্সিডেন্ট হলে কি পরিবহণ মন্ত্রীকে অ্যারেস্ট করা হয়?’, নিজের গ্রেফতারি নিয়ে সওয়াল পার্থর

Partha Chatterjee in Court: অনেক প্রভাবশালী জড়িত এই দুর্নীতিতে। জামিন পেলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে। এমনটাই বলা হল সিবিআই-এর তরফে।

Partha Chatterjee in Court: 'রোড অ্যাক্সিডেন্ট হলে কি পরিবহণ মন্ত্রীকে অ্যারেস্ট করা হয়?', নিজের গ্রেফতারি নিয়ে সওয়াল পার্থর
আদালতে প্রশ্ন করলেন পার্থ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2022 | 3:46 PM

কলকাতা: আর নিজেদের হেফাজতে নয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযু্ক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতের আবদেন জানালেন সিবিআই-এর আইনজীবী। বুধবার আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তোলা হলে, সিবিআইয়ের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, তিনি প্রভাবশালী ব্যক্তি। সাক্ষীদের প্রভাব খাটাতে পারেন। এদিন আদালতে তথ্য প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কাও করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও দাবি করেছেন, পার্থ তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। সংস্থার বিভিন্ন কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। তাই পার্থ এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। জেলেই গিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে পার্থ আইনজীবী সেলিম রহমান আদালতে দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল এই দুর্নীতির সঙ্গে ওয়াকিবহাল নন। আরও একবার দুর্নীতি প্রসঙ্গে তাঁর দায় ঝেড়ে ফেলেন পার্থ। তাঁর আইনজীবী উদাহরণ টেনে প্রশ্ন তোলেন, পথে দুর্ঘটনা হলে যেমন পরিবহণ মন্ত্রীর কোনও দায় থাকে না, এক্ষেত্রে কীভাবে পার্থর দায় থাকতে পারে? এদিনও বয়সের যুক্তি দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন পার্থ। তাঁর আইনজীবীর দাবি, পার্থর বয়স ৭০। অনেক জটিল রোগ রয়েছে তাঁর। বিচার হওয়ার জন্য তো বাঁচিয়ে রাখবেন। আইনজীবীর আরও দাবি, উনি দেশ ছেড়ে যাবেন না। ওনাকে দরকার হলে বাড়িতে রাখা হোক।

অন্যদিতে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে জানান, তিনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কেউ নন। ২০১৭ সালে অ্যাডহক কমিটি তৈরি হয়। মাধ্যমিক বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হওয়ার দরুন আমার স্ক্যান-স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়। প্রতিবছর ১২ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী পাস করে। আমার কোনও অধিকার ছিল না এ নিয়ে প্রশ্ন করার।

এরপর সিবিআই-এর আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহা তথ্য প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। যোগ্যরা চাকরি পাননি এঁদের জন্য। তদন্ত সুদূরপ্রসারী হবে। কারণ অনেক প্রভাবশালী জড়িত এই দুর্নীতিতে। জামিন পেলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে। সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন তাঁরা। সিবিআইয়ের তরফে ভারতীয় দণ্ড বিধির ২৬৭ ধারা যোগ করার আবেদন জানানো হয়।