Partha Chatterjee: জেলের মেনুতে খাসির মাংস, কবজি ডুবিয়ে খেলেন পার্থ
Partha Chatterjee: কারা দফতর সূত্রে খবর, এ দিন বেশ তৃপ্তি করেই খেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিল ভাত, সবজি, চাটনি।
কলকাতা: অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে তিনি নাকি মাঝেমধ্যেই চলে যেতেন শহরের অদূরে বিভিন্ন ধাবায়। শোনা যায়, তাঁদের নৈশভোজের মেনুতে থাকত ‘বাটার চিকেন’ কিংবা ‘ফিশ তন্দুর’। কখনও আবার জমিয়ে খেতেন কেশরী চা। বয়স বা অসুখ, যাই হোক না কেন, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় রসনার সঙ্গে যে কোনও আপোষ করতেন না, সেটা বেশ বোঝাই যায়। ইডি হেফাজতে থাকাকালীনই খাসির মাংস খাওয়ার আব্দার করেছিলেন পার্থ। আর এবার জেলে না চাইতেই জুটল খাসি। কব্জি ডুবিয়ে সেই মাংস খেলেন তিনি। কারা দফতর সূত্রে অন্তত তেমনটাই খবর।
পার্থর ঘনিষ্ঠরা জানেন খাসির মাংস খেতে বরাবরই ভালবাসেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। মুরগীর মাংস তাঁর মুখো তেমন রোচে না। কিন্তু জেলে তো আর পছন্দের খাবার নিয়ে কেউ মুখের সামনে হাজির হবেন না! কিন্তু মঙ্গলবার দিনটা ছিল আলাদা। মহরম উপলক্ষে এ দিন জেলে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন। তাই জেলে বসেই পার্থ পেয়ে গেলেন প্রিয় খাবার।
কারা দফতর সূত্রে খবর, এ দিন জেলের মেনুতে ছিল ভাত, খাসির মাংস, সবজি আর প্লাস্টিক চাটনি। খাবারের থালায় এগুলো পেয়ে নাকি খুশিই হন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি এ দিন বেশ তৃপ্তি করে খেয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, চার পিস মাংস খেয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। মন ভরে খেয়েছেন ভাত।
সাধারণত জেলের নিয়ম অনুযায়ী, সপ্তাহে একদিন মেনুতে থাকে মাছ, একদিন ডিম, একদিন মুরগীর মাংস আর একদিন সয়াবিন। বাকি দিনগুলোতে থাকে নিরামিষ খাবার। তবে ইদ, মহরম, স্বাধীনতা দিবস, দুর্গা পুজো, এমন কিছু বাছাই করা দিনে রুটিনের বাইরে ভাল খাবারের বন্দোবস্ত থাকে। মঙ্গলবার ছিল সেরকমই একটি দিন।
পার্থ ডায়াবেটিসের রোগী। ভুবনেশ্বর এইমসে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসরা খাবার নিয়ে সাবধান করেছিলেন। খাবারের তালিকাও তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পার্থ প্রথম থেকেই সেই নিষেধাজ্ঞা মানতে নারাজ। সিজিও কমপ্লেক্সে রুটি খেতেও আপত্তি ছিল তাঁর। আর জেলে প্রতিদিনের ভাত, ডাল, সবজি খেতে হচ্ছে পার্থকে। সকালে মিলছে চা-টোস্ট। তাই স্বাদ পাল্টাতে সোমবারই তেলেভাজার আব্দার করে বসেছিলেন পার্থ। ক্যান্টিন থেকে তাঁকে আলুর চপ, বেগুনিও এনে দেওয়া হয়েছিল। আর পরের দিনই জেলের মেনুতে মিলল খাসির মাংস।