Partha-Arpita: ‘ভুয়ো নথি’তে তোলা মোবাইল নম্বর দিয়েই অর্পিতার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে পার্থ?
Enforcement Directorate: আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে TV9 বাংলার অন্তর্তদন্তে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভুয়ো নথি দিয়ে তোলা মোবাইল নম্বর থেকে যোগাযোগ করতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এমনই অভিযোগ উঠে এসেছে।
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এবার আরও সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিন সকাল থেকে ফের শহর ও শহরতলির একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। পৃথক পৃথক দলে ভাগ হয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। ইডির আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, তদন্তকারী সংস্থা আশঙ্কা করছে ১২০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। তার মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বাকি টাকা তাহলে কোথায়? সেই উত্তর খুঁজতেই কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন ইডির অফিসাররা। আর এরই মধ্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে TV9 বাংলার অন্তর্তদন্তে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভুয়ো নথি দিয়ে তোলা মোবাইল নম্বর থেকে যোগাযোগ করতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এমনই অভিযোগ উঠে এসেছে।
আদালতে ইডির তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, ৮৯১০ দিয়ে শুরু হওয়া একটি মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে থাকতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দিনে ৫-৬ বার কিংবা তারও বেশি বার কথা হত পার্থ ও অর্পিতার মধ্যে। সেই কল ডিটেইলসও রয়েছে ইডির হাতে।
আদালতে ইডির তরফে জমা দেওয়া সেই নম্বরের সূত্র ধরে অন্তর্তদন্তে নামে TV9 বাংলা। আর তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই নম্বরটি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে নথিভুক্ত ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এই নম্বরটি নেওয়া হয়েছিল তিলজলা লেনের বাসিন্দা মহম্মদ সাবির নামে এক ব্যক্তির নামে। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে জানা যায়, ওই মহম্মদ সাবিরের ঠিকানা ৪ নম্বর তিলজলা লেন। কিন্তু গুগল থেকে এই ধরনের কোনও ঠিকানা পাওয়া যায় না। TV9 বাংলার তরফে তিলজলা এলাকায় গিয়ে তাঁর ঠিকানা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়। সেখানে গিয়েও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৪ নম্বর তিলজলা লেনের কোনও অস্তিত্ব নেই। যা রয়েছে, তা হল ৪ (এ), ৪ (বি) এবং ৪ (সি) তিলজলা লেন। আরও চোখ কপালে ওঠার মতো তথ্য উঠে এসেছে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে। ওই এলাকায় মহম্মদ সাবির বলে কাউকে চেনেন না তাঁরা। এলাকাবাসীদের বক্তব্য, তাঁরা ছোটবেলা থেকে এখানে বড় হয়েছেন। কিন্তু এই নামে তাঁরা কাউকে চেনেন না। ফলে, ওই ঠিকানা ভুয়ো বলেই দাবি করছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে মোবাইল নম্বর থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন বলে ইডির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সেই নম্বর সংক্রান্ত তথ্য বলছে, নম্বরটি রয়েছে ৪ তিলজলা লেন, কলকাতা-১৯ এর বাসিন্দা মহম্মদ সাবিরের নামে রয়েছে। এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখলে জানা যায়, ওই এলাকার বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা ভুয়ো নথি দিয়ে সিম কার্ড তোলার রমরমা বাজার চলার অভিযোগ উঠেছে এর আগেও। প্রশাসনের নজরে এলে, বিষয়টিতে কড়া পদক্ষেপ করতেও দেখা গিয়েছে। সেখানে কি খোদ রাজ্যের মন্ত্রীই ভুয়ো নথি দিয়ে সিমকার্ড ব্যবহার করছিলেন? কিন্ত কেন? সেই সব প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই খুঁজতে শুরু করেছেন ইডির অফিসাররা।