Partha Chatterjee: ফ্যানের হাওয়াতেই রাত কাটল পার্থর, সকালে বাকিদের মতোই পেলেন চা-টোস্ট

Partha Chatterjee: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে রাখা হয়েছে আলিপুর সংশোধনাগারে।

Partha Chatterjee: ফ্যানের হাওয়াতেই রাত কাটল পার্থর, সকালে বাকিদের মতোই পেলেন চা-টোস্ট
পার্থর চিকিৎসায় মেডিক্যাল টিম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 12:36 PM

কলকাতা : প্রায় ২২ বছর ধরে বিধায়ক পদে রয়েছেন তিনি, আর ১১ বছর ধরে ছিলেন মন্ত্রী পদে। তাঁর নাকতলার বিলাসবহুল বাড়ি চেনেন অনেকেই। সে সব ছেড়ে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলে। আদালত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পর শুক্রবার রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। সেখানে সাধারণ বন্দির মতোই রাত কাটল তাঁর। বরাবর এসি-তে থেকে অভ্যস্ত পার্থর রাত কাটালেন সাধারণ ফ্য়ানের হাওয়াতেই।

তাঁকে যে প্রেসিডেন্সি জেলে আনা হতে পারে, এমনটা মোটামুটিভাবে আন্দাজ করতে পেরেছিল জেল কর্তৃপক্ষ। সেই মতো তৎপরতাও ছিল শুক্রবার। সন্ধ্যার পর প্রিজন ভ্যানে করে তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। কারা দফতরের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, সাধারণ বন্দির মতোই আচরণ করা হবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে। জেলের পয়লা ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সেল-২ তে রাখা হয়েছে পার্থকে। সেটিকে আগে থেকেই পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছিল। সূত্রের খবর, ধবধবে কোনও বিছানা নয়, সাধারণ চাদরেই শুতে দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

আলাদা কোনও ব্যবস্থা নেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য। তবে, রাতে পেয়েছেন মিনারেল ওয়াটারের বোতল। আর সকালে প্রাতরাশে ছিল অন্যান্য বন্দিদের মতোই চা আর বাটার টোস্ট। তবে আজ, শনিবার যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের তরফে কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান, তাহলে সেই ব্যবস্থা থাকছে। পরিবারের কেউ এসে খাবার দিতে চাইলে দিতে পারেন, দিতে পারেন পোশাকও। এর বাইরে আর কোনও সুবিধা আপাতত পাবেন না পার্থ।

শুধু পার্থ নন, জেলে রয়েছেন পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। যাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকে অন্তত ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, যাঁর নামে একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে, যাঁর সম্পত্তির কিণারা করতে হিমশিম খাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা, তাঁকেও থাকতে হচ্ছে আর পাঁচজন সাধারণ বন্দির সঙ্গে। বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত অর্পিতা ইডি হেফাজতে থাকাকালীন ড্রাই-ফ্রুট খাওয়ার আবদার করেছিলেন আধিকারিকদের কাছে। কিন্তু জেলে তাঁকে দেওয়া হবে সাধারণ ভাত-ডালই।

আগেও অনেক সময় নেতা-মন্ত্রীরা বিশেষ ব্যবস্থার আবদার করেছেন জেলে। কিন্তু, দেল কর্তৃপক্ষ বরাবরই বলে থাকে, জেলে এলে কেউ আর নেতা নন, মন্ত্রী নন, প্রত্যেকেই বন্দি। তাই সবার সঙ্গেই সমান ব্যবহার করা হবে।

উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে জেলে গিয়েও জেরা করতে পারবেন ইডি আধিকারিকরা। যে কোনও সময় গিয়ে পার্থ বা অর্পিতার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন তাঁরা।