Partha Chatterjee: দিনে ৮ হাজার টাকার ফল যেত পার্থর নাকতলার বাড়িতে: সূত্র

Partha Chatterjee: বিপুল টাকার ফল কেনার মধ্যেই দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন ইডি আধিকারিকেরা। প্রয়োজনে ফল বিক্রেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

Partha Chatterjee: দিনে ৮ হাজার টাকার ফল যেত পার্থর নাকতলার বাড়িতে: সূত্র
রকমারি ফল খেতেন পার্থ (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2022 | 10:09 AM

কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে ভোজনরসিক, সে কথা জানেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। ৬৯ বছর বয়সেও রোগের তোয়াক্কা না করে খেতেন, যেমনটা তাঁর মন চাইত। শুধুই মশালাদার খাবার নয়, ইডি সূত্রে খবর, নানারকমের ফল খেতেও ভালবাসতেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সে ফল তো তিনি খেতেই পারেন! কিন্তু সেই ফলের মধ্যেও অন্যরকম গন্ধ পাচ্ছেন ইডি আধিকারিকেরা। ফল খেতে কেউ যতই ভালবাসুন না কেন, তাই বলে প্রতিদিন ৮ হাজার টাকার ফল! তদন্তকারীরা এমন তথ্যই পাচ্ছেন।

জানা গিয়েছে, প্রতিদিন তাঁর প্রয়োজন হত রকমারি ফল। যেমন তেমন ফল নয়, ভাল জাতের ফল খেতেন তিনি। আর সেই ফল যেত কলকাতার অভিজাত বাজার থেকে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ মার্কেটের একটি ফলের বাজার থেকে ফল যেত পার্থর নাকতলার বাড়িতে। আধিকারিকেরা জানতে পেরেছেন, আগে থেকে অর্ডার দেওয়া থাকত। সেই তালিকা ধরে নিউ মার্কেট থেকে এক ব্যক্তি নাকতলার বাড়িতে ফল দিয়ে আসতেন। প্রতিদিন প্রায় ৮ হাজার টাকার ফল যেত তাঁর বাড়িতে। হিসেব বলছে মাসে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ফল।

কিন্তু ইডির সন্দেহ অন্য জায়গায়। তদন্তে তারা জানতে পেরেছে, প্রতিদিনের ফলের দাম প্রতিদিনই মিটিয়ে দেওয়া হত। অফিসারদের সন্দেহ, ফল কেনার নামে আসলে কালো টাকা, সাদা করার প্রক্রিয়া চলত। তাই ফলের মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে দুর্নীতির বীজ। সূত্রের খবর, ফল বিক্রেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভাবছে ইডি।

প্রায় ১১১ কেজি ওজন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের। রয়েছে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও। তা সত্ত্বেও খাবার কার্পণ্য করতেন না পার্থ। সম্প্রতি বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্য়ায় দাবি করেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অনেকেই মাছ, মাংস পৌঁছে দিয়ে আসতেন। কেউ আবার রেঁধে নিয়ে যেতেন পাঁঠার মাংস। বৈশাখীর দাবি, কোনও কিছুই বাজার থেকে কিনতে হত না পার্থকে, সবটাই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যেত।