Pavlov Hospital: পাভলভ হাসপাতালের সুপারের বদলির সুপারিশ, প্রশাসনিক কাঠামোয় আমূল বদল
Pavlov Hospital: সকলের অভিভাবকের ভূমিকায় থাকবেন ন্যাশনালের অধ্যক্ষ। আর্থিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করবেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাউন্টস অফিসার।
কলকাতা: TV9 বাংলার লাগাতার সম্প্রচারের পরে পাভলভের মূল অসুখ সারাতে তৎপর স্বাস্থ্য ভবন। আমূল বদলে যাচ্ছে পাভলভের প্রশাসনিক কাঠামো। এখন থেকে রাজ্যের প্রথম সারির মানসিক হাসপাতালের সর্বময় প্রশাসনিক কর্তা হবেন কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি। পাভলভের সুপার বলে কেউ থাকবেন না। পরিবর্তে অন্য মেডিক্যাল কলেজের মতো ডেপুটি সুপার এমএসভিপির নিয়ন্ত্রণে থাকবেন।
সকলের অভিভাবকের ভূমিকায় থাকবেন ন্যাশনালের অধ্যক্ষ। আর্থিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করবেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অ্যাকাউন্টস অফিসার। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের বক্তব্য, পাভলভে প্রশাসনিক অব্যবস্থার মূল কারণ হল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে পাভলভের সংযুক্তিকরণে পদ্ধতিগত জটিলতা।
হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যকলাপের নিয়ন্ত্রক ছিলেন সুপার। কিন্তু চিকিৎসা এবং মেডিক্যাল এডুকেশনের বিষয়টি ছিল সিএনএমসি’র সাইকিয়াট্রিক বিভাগের প্রধান সৃজিত ঘোষের নিয়ন্ত্রণাধীন। ফলে দু’পক্ষের টানাপোড়েনে ব্যাহত হয় পরিষেবা।
২০১৪ সালে এসএসকেএমের অধীনে যে ভাবে শম্ভুনাথ পণ্ডিত বা রামরিক হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে, একই রকম ভাবে পাভলভকেও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের আওতায় আনা হয়েছিল। কিন্তু এই সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব সে ভাবে কার্যকর হয়নি। পাভলভের নরক গুলজার পরিস্থিতি TV9 বাংলার লাগাতার খবর করে প্রকাশ্যে আনার পর আট বছর আগের নির্দেশিকাকে পুরো মাত্রায় কার্যকর করতে চাইছে স্বাস্থ্য ভবন।
ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করেছে স্বাস্থ্য় দফতর। সুপারের শোকজের উত্তরে সন্তুষ্ট নন স্বাস্থ্য় কর্তারা। শেষ খবর অনুযায়ী, সুপারের পদ থেকে গণেশ প্রসাদকে সরানোয় সিলমোহর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে নবান্নে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবান্নই।
মঙ্গলবারই স্বাস্থ্যভবনে তলব করা হয় পাভলভ কর্তৃপক্ষকে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, তাঁকে যে সরতে হচ্ছে, তা আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য কর্তারা। স্বাস্থ্য সচিবের কথাতেই কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত মিলেছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “আমরা সব দিক পর্যালোচনা করে সরকারিভাবে যেটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”উল্লেখ্য, পাভলভে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসার পর স্বাস্থ্য দফতরের দুই কর্তার রিপোর্টের ভিত্তিতে পাভলভের সুপার গণেশ প্রসাদকে শোকজ করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। প্রথমে শোকজ করার বিষয়টি অস্বীকার করতে থাকেন গণেশ প্রসাদ। তিনি দাবি করছিলেন, চিঠি পাননি। কিন্তু মঙ্গলবারের বৈঠকে শোকজের জবাব দেন তিনি।