Kalyani AIIMS Case: নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়াই চাকরি! এইমসের নিয়োগ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

Kalyani AIIMS Case: নেতা-মন্ত্রীরা প্রভাব খাটিয়ে তাঁদের আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি।

Kalyani AIIMS Case: নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়াই চাকরি! এইমসের নিয়োগ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে
কলকাতা হাইকোর্ট।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2022 | 7:45 AM

কলকাতা : রাজ্যের একাধিক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একটি মামলা দায়ের হল। কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোরে তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করেছে সিআইডি। মূলত বিজেপি নেতা বা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগেই এবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। বেআইনি ভাবে এইমসে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়েছে।

কল্যাণী এইমসে গ্রুপ ডি-তে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিযুক্ত রয়েছেন মৈত্রী দানা। চলতি বছরেই তাঁর নিয়োগ হয়েছে। মাসে ৩০ হাজার টাকা বেতন পান তিনি। মৈত্রীর বাবা বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা। বিধায়ক প্রভাব খাটিয়ে মেয়ের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন বলেই অভিযোগ। মামলায় দাবি করা হয়েছে, মৈত্রী দানা কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেননি। মৈত্রীকে নিয়োগে করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের প্রভাব থাকতে পারে বলেও মামলাকারীর অভিযোগ। জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন সুজিত চক্রবর্তী। আগামী সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

ইতিমধ্যেই মৈত্রীকে দু’বার তাঁর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।মৈত্রীর নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদের এক চাকরি প্রার্থী কল্যাণী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপরই তদন্তভার নেয় সিআইডি। প্রথমে একদিন মৈত্রীর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সে দিন তিনি সহযোগিতা করেননি বলেই অভিযোগ। এরপর ফের তাঁর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। মৈত্রী সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বলে দাবি করেন তাঁর আইনজীবী। জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো রেকর্ডিং হয় বলেও জানা গিয়েছে।

শুধু বাঁকুড়ার বিধায়কই নয়, এই ঘটনায় চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের  বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ সামনে এসেছে। তাঁর পুত্রবধূ অনসুয়া ঘোষকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূকেও তলব করেছে সিআইডি।