Calcutta High Court: কারিগরি দফতরে ৭ হাজার কোটি নয়ছয়ের অভিযোগ ‘অনুব্রত ঘনিষ্ঠ’র বিরুদ্ধে, CBI-ED-র দাবিতে মামলা হাইকোর্টে

Calcutta High Court: আইনজীবী হাইকোর্টে আবেদন করছেন, দুর্নীতির এই অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআই-এর হাতে। পাশাপাশি আর্থিক তছরুপের যে অভিযোগ উঠেছে, সেই তদন্তভার দেওয়া হোক এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে।

Calcutta High Court: কারিগরি দফতরে ৭ হাজার কোটি নয়ছয়ের অভিযোগ 'অনুব্রত ঘনিষ্ঠ'র বিরুদ্ধে, CBI-ED-র দাবিতে মামলা হাইকোর্টে
কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 17, 2022 | 2:40 PM

কলকাতা : কেন্দ্রের পাঠানো কারিগরি দফতরের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে এবার মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে মলয় পিঠ নামে এক ব্যক্তি। এই নিয়ে শুক্রবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির বক্তব্য, এই মলয় পিঠ নামের ব্যক্তি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন মামলাকারী। আইনজীবী হাইকোর্টে আবেদন করছেন, দুর্নীতির এই অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআই-এর হাতে। পাশাপাশি আর্থিক তছরুপের যে অভিযোগ উঠেছে, সেই তদন্তভার দেওয়া হোক এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে।

এছাড়া কারিগরি দফতরকে আর্থিক সাহায্য পাঠানো বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির বক্তব্য, “দুটি প্রকল্পের জন্য ভারত সরকার বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, আইটিআই কলেজগুলি সাত কোটি টাকার ফান্ড পাওয়ার কথা ছিল। অদ্ভুতভাবে দেখা যাচ্ছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিঠের তিনটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং একটি কম্পানির নামে ১৭ টি আইটিআই চলছে পশ্চিমবঙ্গে। এই ১৭ টি আইটিআই ১-৪০ ব়্যাঙ্কের মধ্যে রয়েছে এবং তারা টাকা পাচ্ছে। যে নথি জমা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি ভুয়ো।”

এল অ্যান্ড টি-র সঙ্গে এদের চুক্তি ছিল বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু আইনজীবীর বক্তব্য, তিনি এল অ্যান্ড টি সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন এবং উত্তরে এল অ্যান্ড টি জানায় যে চুক্তির কথা দেখানো হয়েছিল, সেটি ভুয়ো। কিন্তু এরপরই ওই আইটিআইগুলি গ্রেডেশন পেয়েছে, টাকা পেয়েছে। এই বছরও টাকা পেয়েছে। তিনি আরও জানান, মলয় পিঠের সংস্থাগুলিতে প্রদীপ চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি কাজ করেন। যিনি অতীতে কারিগরি দফতরের উপদেষ্টা ছিলেন। আইনজীবী অভিযোগ, পুরো বিষয়টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রককে জানানো পরে, কেন্দ্র থেকে কারিগরি দফতরকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে চিঠি পাঠায় এবং কারিগরি দফতরকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু কারিগরি দফতর থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।