Everest Winner: বঙ্গ তনয়ার এভারেস্ট জয়, অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্টের চূড়ায় চন্দননগরের পিয়ালি
Everest Winner: চন্দননগরের পিয়ালির হাত ধরেই ফের নতুন রেকর্ড বাংলার। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয় করে ফেললেন পিয়ালি বসাক।
কলকাতা: বঙ্গ তনয়ার এভারেস্ট জয় (Everest Win)। এভারেস্ট জয় করলেন চন্দননগরের পিয়ালি বসাক (Piyali Basak of Chandannagar)। রবিবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়ে ফেলেন পিয়ালি। তবে শুধু চূড়া জয়েই সকলকে চমকে দিয়েছেন এমনটা নয়, একেবারে অক্সিজেন ছাড়াই উঠে পড়েছেন এভারেস্টের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে। পর্বতারোহীদের এভারেস্ট জয়ের ইতিহাসে এই রেকর্ড নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে অনেক শেরপা অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছেন। রেকর্ড করেছেন দেশ-বিদেশের অন্যান্য পর্বতারোহীরাও। কিন্তু বাঙালি কোনও পর্বতারোহীর কাছে ছিল না এই রেকর্ড। তাই এবার তৈরি হয়ে গেল পিয়ালির হাত ধরে।
সূত্রের খবর, এভারেস্টের জয়ের পর বর্তমানে ক্যাম্প ফোরে সামিট করে ফিরে আসছেন বলে জানা গিয়েছে। এ দিকে পিয়ালীর জয়ে খুশির জোয়ার বইছে তাঁর পরিবার ও আত্মীয়-পরিজনদের মধ্যে। অন্যদিকে পিয়ালীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে বাংলার অন্যান্য পর্বতারোহীদেরও। এই প্রসঙ্গে পর্বতারোহী নীলাঞ্জন রায়চৌধুরী বলেন, “পিয়ালির এই আরোহন ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাংলার এবং ভারতের মহিলা পর্বতারোহীদের কাছে। অক্সিজেন ছাড়া এর আগে কেউ ওঠেইনি, এমনকী বিশ্ব রেকর্ডও হয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় দাওয়া শেরপার সঙ্গে সামিট মার্চ করে আজ ভারতীয় সময় সাড়ে ৮ টা। নেপালের সময় সকাল ৯টায় ও এভারেস্ট জয় করে ফেলেছে। তবে দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় ফল হলেন পিয়ালি। আগেরবার কাছাকাছি গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল ওঁকে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সরকারি কোনও সাহায্য ছড়াই এভারেস্ট জয় করলেন তিনি। ক্রাউড ফান্ডিং করেই তোলা হয় পর্বতারোহনের খরচ”।
তবে পিয়ালির সাফল্যের তাঁর এজেন্টদেরও বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানান নীলাঞ্জন বাবু। ক্রাউড ফান্ডিং সরকারি সাহায্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মোট যা খরচ হয়েছে তাতে এখনও এজেন্টের কাছে ওর ৪ লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে। ওর এজেন্টকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। ওর নিজের ক্ষমতা দেখে যাঁরা আগামীদিনে ওকে আগাম টাকা দিয়েছে তাঁদের অবশ্যই কৃতজ্ঞতা প্রাপ্য”।