Drug Seize: মাদক বাজেয়াপ্তের সময় ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে পুলিশকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

High Court: মুর্শিদাবাদের ওই মিথ্য মাদক মামলায় লালগোলা থানার অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। লালগোলা থানার বিরুদ্ধেই নথি বিকৃত করার অভিযোগ আনেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

Drug Seize: মাদক বাজেয়াপ্তের সময় ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে পুলিশকে, নির্দেশ হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2022 | 8:50 PM

কলকাতা: রাজ্যে বিভিন্ন মাদক পাচারের মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিদের ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের এ রকমই একটি মামলা গড়িয়েছিল আদালতে। নিরপরাধ দুই বাইকআরোহীর বাইক ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে তাঁদের মাদক মামলায় সাক্ষী হিসাবে যুক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মাস খানেক আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের এক ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলার প্রেক্ষিতে মাদক বাজেয়াপ্ত করার সময় পুলিশকে বাধ্যতামূলক ভাবে ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার মাদক বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, পাচারকারীদের থেকে মাদক বাজেয়াপ্ত করার সময় বাধ্যতামূলক ভাবে ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে পুলিশকে। এই নির্দেশ যদি না মানা হয় তাহলে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করতে হবে। আদালতের এই নির্দেশ কার্যকর করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা ২ সপ্তাহ পর আদালতে জানাতে হবে রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে।

মুর্শিদাবাদের ওই মিথ্য মাদক মামলায় লালগোলা থানার অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। লালগোলা থানার বিরুদ্ধেই নথি বিকৃত করার অভিযোগ আনেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সেই মামলায় মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মতো বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে হাজির ছিলেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার শবরী রাজ কুমার।

লালগোলা থানার ওই মাদক মামলায় অভিযুক্তকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হলেও, সিজার লিস্টে তাঁদের নাম ছিল না। এর আগেই দুজনকে জামিন দিয়েছিল আদালত। তাঁদের আইনজীবী শেখর বসু ও নীলাদ্রিশেখর ঘোষ, আদালতে নথি দিয়ে জানিয়েছিলেন মিথ্যে মামলায় তাঁদের মক্কেলদের ফাঁসানো হয়েছে। থানার লকআপে তাঁদের উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীর গোপন জবানবন্দিতে জানা গিয়েছে, এই ২জনের বাইক আটক করেছিল পুলিশ। সেই বাইক ছাড়ানোর জন্য পুলিশের হাতে পায়ে ধরেন তাঁরা। তখই সাদা কাগজে তাঁদের সই করিয়ে নিয়েছিল লালগোলা থানার পুলিশ। পরে সেই কাগজ পুলিশ মাদক মামলায় ব্যবহার করেছিল।