TET Agitators: হাজরা মোড়ে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

Kolkata Police: চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন, এ খবর আগেই ছিল কলকাতা পুলিশের কাছে। তাই ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়ার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত ছিলেন হাজরা মোড়ে।

TET Agitators: হাজরা মোড়ে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি
হাজরা মোড়ে বিক্ষোভকারীদের প্রিজন ভ্যানে তুলছে পুলিশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2022 | 2:37 PM

কলকাতা: ফের মহানগরের রাস্তায় টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ। প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং চাকরির দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হলেন টেট উত্তীর্ণরা। বুধবার দুপুরে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য জড়ো হন ওই চাকরি প্রার্থীরা। প্রায় ৭০-৮০ জন চাকরি প্রার্থী বিক্ষোভ দেখানোর জন্য জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেই বাধা দেয় পুলিশ। যার জেরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের। এর পর বিক্ষোভকারীদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন। উত্তীর্ণও হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি আর চাকরি পাওয়া হয়নি। প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদ ও চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ৭০-৮০ জন চাকরিপ্রার্থী। হাজরা পার্কের ফুটপাতে জড়ো হন তাঁরা। সেখান থেকেই স্লোগান দিয়ে হাজরা মোড়ে আসার চেষ্টা করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন, “চাকরি চাই।”

চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন, এ খবর আগেই ছিল কলকাতা পুলিশের কাছে। তাই ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়ার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত ছিলেন হাজরা মোড়ে। সেই দলে ছিল মহিলা পুলিশও। বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখানো শুরু করতেই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। তার পর পুলিশ প্রিজন ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের।

গত কয়েক মাস ধরেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ৯ জুন টেট উত্তীর্ণরা সল্টলেকের বিকাশ ভবনে স্মারকলিপি জমা দিতে যান। সেখানেও ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকেছিল পুলিশ। সেই অভিযান ঘিরেও ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারীও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

এই ঘটনার কয়েক দিন পরই টেট দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২০১৭ সালে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকাকে বেআইনি বলে উল্লেখ করে আদালত। সেই থাকা ২৬৯ জন প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরিও বাতিল হয়েছে আদালতের নির্দেশে। ২৬৯ জনের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।