Polio Virus in Kolkata: কলকাতায় পোলিও-র সন্ধান, নর্দমার জলে জীবাণু পেল WHO

Polio Virus in Kolkata: আট বছর আগে ভারতকে পোলিও-মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এবার ফের মিলল সেই জীবাণুর সন্ধান।

Polio Virus in Kolkata: কলকাতায় পোলিও-র সন্ধান, নর্দমার জলে জীবাণু পেল WHO
কলকাতায় মিলল পোলিও-র সন্ধান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 15, 2022 | 12:02 PM

কলকাতা : একসময় পোলিও ছিল আতঙ্কের। এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলে অবশ হয়ে যেতে পারে অঙ্গ প্রত্যঙ্গও। সেই আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত টিকাকরণ চালানো হয়। অনেক প্রচেষ্টার পর ভারতকে পোলিও-মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার ঠিক ৮ বছর পর ফের সেই পুরনো আতঙ্ক ফিরল। খাস কলকাতায় মিলল পোলিও-র জীবাণু। নর্দমার জলের নমুনা পরীক্ষা করতেই ধরা পড়ল সেই জীবাণু। নমুনা পরীক্ষার ফল সামনে আসতেই উদ্বেগ বেড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের। এত সাবধানতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও কী ভাবে এই জীবাণু মিলল, তা ভেবে পাচ্ছেন না দফতরের কর্তারাও।

কলকাতা পুরসভার ১৫ নম্বর বরো অর্থাৎ মেটিয়াবুরুজ এলাকার একটি নর্দমার জলে মিলেছে এই জীবাণু। চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে ওই জীবাণুর সন্ধান মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পোলিয়োর জীবাণু ভিভিপিভি, টাইপ-ওয়ানের সন্ধান মিলেছে ওই জলে।

২০১১ সালে হাওড়া জেলায় দু’বছরের এক শিশুকন্যার শরীরে পোলিয়োর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ওই শিশুর পর আর কোনও পোলিও আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি রাজ্যে তথা দেশে। সেটিই ছিল এ দেশে শেষ পোলিও রোগীর সন্ধান। এরপর ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ ভারতকে পোলিয়োমুক্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারপরও টিকাকরণ থামানো হয়নি। সরকারের তৎপরতায় নিয়মিত শিশুদের টিকাকরণ করা হয়। তারপরও কোন ফাঁকে এই জীবাণু হানা দিল, তা স্পষ্ট নয়।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, চুপিসাড়ে পোলিয়োর জীবাণু কোথাও হানা দিয়েছে কি না, তা জানতে বিভিন্ন এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। সেই পরীক্ষা চলাকালীন কলকাতা পুরসভার ১৫ নম্বর বরোয় মিলল পোলিয়ো জীবাণুর সন্ধান। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অনেক জায়গাতেই টিকাকরণ ধাক্কা খেয়েছে। তার ফলে এরকম ঘটনা কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

উল্লেখ্য, পোলিও বা পোলিওমাইলিটিজ হল এক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ। এক ব্যক্তির শরীর থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করতে পারে এই ভাইরাস। এই রোগে আক্রান্ত হলে কোনও ব্যক্তি স্থায়ীভাবে শারীরিক ক্ষতির শিকার হতে পারেন। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশ হয়ে যেতে পারে। এই ভাইরাস মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে প্রবেশ করে ও স্নায়ুকোষকে আক্রান্ত করে।