Potato Price Hike: নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য বিশেষ খবর, আলুর দাম বেড়েছে তো আগেই, কিন্তু কততে গিয়ে ঠেকবে জানেন?

Potato Price Hike: শহর কলকাতা হোক বা জেলা। বাজার এখন অগ্নি মূল্য। সাধারণ মানুষের সব সময়ের সঙ্গী আলুও যেমনভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে যাওয়ার পথে।

Potato Price Hike: নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য বিশেষ খবর, আলুর দাম বেড়েছে তো আগেই, কিন্তু কততে গিয়ে ঠেকবে জানেন?
বাজারে ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী আলুর দাম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 11, 2022 | 8:34 AM

কলকাতা: অগ্নিমূল্য বাজারে আম আদমির হাতে ছ্যাঁকা দিচ্ছে আলুও। চন্দ্রমুখী আলুর দেখা মেলা ভার। ক্রমাগত দাম বাড়ছে জ্যোতি আলুর। মঙ্গলবার সকালে মানিকতলা খুচরো বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে চওড়া দামে কিনতে হচ্ছে আলু। তাই এই দাম বৃদ্ধি।

শিয়ালদা কোলে মার্কেটের পাইকারি বাজারে জ্যোতি আলুর দাম ২৪ টাকা কেজি। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা ৫০ কেজির একটি বস্তা বিক্রি করছেন ১২০০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে এসে সে আলুর দাম আরও বেড়ে যাচ্ছে। খুচরো বাজারে যেমন মানিকতলা বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি দরে। খুচরো ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে তাঁদের খুচরো বাজারে এনে বিক্রি করতে পরিবহন খরচ লাগছে। ৫০ কেজির বস্তায় প্রায় ২কেজি আলু নষ্ট হচ্ছে, সেই দামটা ধরে তবে আলুর দাম ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চন্দ্রমুখী আলুর দেখা মেলা ভার। মানিকতলা বাজারে কোনও কোনও ব্যবসায়ীর কাছে চন্দ্রমুখী আলু দেখা গেলেও তার দাম ৪৫ টাকা কেজি। ব্যবসায়ীরা বলছেন ১৯০০ টাকা বস্তায় আলু কিনছেন। অর্থাৎ ৩৮ টাকা কেজি দরে তাঁরা চন্দ্রমুখী আলু আনছেন পাইকারি বাজার থেকে।

এ তো গেল কলকাতার বাজার, জেলার অবস্থাও তথৈবচ। পশ্চিম মেদিনীপুর খুচরো বাজারের চিত্র বলছে, প্রতি কেজি জ্যোতি আলুর দাম ২৬ টাকা। যদিও চাষিরা আলু বিক্রি করছেন ১৭ থেকে ১৮ টাকা প্রতি কেজিতে।

শহর কলকাতা হোক বা জেলা। বাজার এখন অগ্নিমূল্য। সাধারণ মানুষের সব সময়ের সঙ্গী আলুও ধরাছোঁয়ার বাইরে যাওয়ার পথে। প্রতিদিন দাম বাড়ছে। কিন্তু কেন এই মূল্য বৃদ্ধি? খুচরো থেকে পাইকারি বাজার, কিংবা ক্রেতাদের বক্তব্যে উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব।

জেলার দিকে খুচরো ব্যবসায়ীরা বলছেন, এইভাবে আলুর দাম চড়লেও, বাজারে তেমনভাবে দেখা মিলছে না টাস্ক ফোর্সের। গত সপ্তাহে কেবল এক দু’বার তাঁরা বাজারে এসেছিলেন। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ব্যবসায়ীরাই বলছেন, মজুতদাররা কিন্তু খুব বেশি আলু মজুত করতে পারছেন না। কারণ আলু এখন স্টোরবন্দি। সেক্ষেত্রে কালোবাজারির প্রশ্ন নেই। স্টোর খুলেছে সোমবার থেকে। সেখানে কিছুটা হলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে। মত বিক্রেতাদের।

কলকাতার ক্ষেত্রেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিভিন্ন বাজারে আলুর ভিন্ন দাম নিয়ে প্রশাসনিক নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে। এক আলু ব্যবসায়ী বলেন, “গতবার ভাল ফলন হয়নি। এবারও তো ফলন করতে পারছে না। উত্তর প্রদেশ থেকে আসছে আলু। বাংলায় ফলন ভাল হলে এত দাম হত না। ১০-১২ টাকা জ্যোতি আলু হত। এখন প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন রয়েছে।” এক বিক্রেতা বলেন, “পরিস্থিতি খুব খারাপ। মানুষ যে আলুসেদ্ধ ভাত খেয়ে থাকবে, তাও আর হচ্ছে না। ভয়ঙ্কর অবস্থা হচ্ছে।”