Manik Bhattacharya: চার্জশিট গ্রহণ হলেও মানিকের বিরুদ্ধে থমকে চার্জগঠন, কেন?

Primary teachers recruitment scam: তৃণমূল বিধায়ক মানিক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। তিনি সভাপতি থাকাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব ছিলেন রত্না। সিবিআইয়ের দাবি, মানিকের হয়ে চাকরিপ্রার্থীকে কাছ থেকে টাকা তুলতেন বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিভাস অধিকারী। সিবিআইয়ের চার্জশিটে বিভাসেরও নাম রয়েছে।

Manik Bhattacharya: চার্জশিট গ্রহণ হলেও মানিকের বিরুদ্ধে থমকে চার্জগঠন, কেন?
মানিক ভট্টাচার্য (ফাইল ফোটো)Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Nov 07, 2025 | 5:37 PM

কলকাতা: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি অন্যতম অভিযুক্ত। গ্রেফতারও করা হয়েছিল তাঁকে। পরে জামিন পান। পলাশিপাড়ার সেই তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করল বিশেষ সিবিআই আদালত। তবে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জগঠন থমকে রয়েছে। কেন তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জগঠন থমকে রয়েছে, শুক্রবার আদালতে তা জানাল সিবিআই। এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও চার্জশিট গ্রহণ করেছে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধেও চার্জগঠন করা যায়নি। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আর এক অভিযুক্ত বিভাস অধিকারী বর্তমানে কোথায় রয়েছেন, তাও এদিন জানতে চায় আদালত।

বিশেষ সিবিআই আদালত মানিক ভট্টাচার্য ও রত্না চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করলেও থমকে বিচার প্রক্রিয়া। কোনও বিধায়ক কিংবা সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের জন্য রাজ্যপালের অনুমতি প্রয়োজন। এখনও সেই অনুমতি না পাওয়ায় মানিক ভট্টাচার্য ও রত্না চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন হচ্ছে না। এদিন আদালতে সিবিআই জানায়, চার্জশিট জমা দেওয়ার আগের দিন রাজ‍্যপালের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এখনও রাজভবন থেকে অনুমতি আসেনি। বিচারক তা শুনে বলেন, “তাহলে আমরাও অপেক্ষা করি।”

তৃণমূল বিধায়ক মানিক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। তিনি সভাপতি থাকাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব ছিলেন রত্না। সিবিআইয়ের দাবি, মানিকের হয়ে চাকরিপ্রার্থীকে কাছ থেকে টাকা তুলতেন বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিভাস অধিকারী। সিবিআইয়ের চার্জশিটে বিভাসেরও নাম রয়েছে। এদিন বিভাসের সম্পর্কেও জানতে চান বিচারক। সিবিআই আদালতে জানায়, নয়ডায় ভুয়ো থানা খোলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিভাস অধিকারীকে। তিনি এখন জেল হেফাজতে রয়েছে। এই কথা শুনে বিচারক বলেন, “আপনারা খোঁজ খবর নিন। সমন পাঠাতে হবে।”