রাজীবও এখন তৃণমূলের ‘প্রাক্তন’

সকালে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই দলও ছাড়লেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজীবও এখন তৃণমূলের ‘প্রাক্তন’
অলঙ্করণ - অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2021 | 6:53 PM

কলকাতা: ‘রাজনীতিতে কোনও কিছুই অঘটন নয়, যা ঘটে তা আসলে ঘটানো হয়’। সময় যত এগোচ্ছে বঙ্গ রাজনীতিতে যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের অমোঘ এই উক্তি। রাজ্যে এখন সকালে যে তৃণমূল, বিকেলে তাঁর পরিচয় নিয়েই সংশয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত যেমন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ডোমজুড়ের বিধায়ক এবং দলের রাজ্য কমিটিক কোর্ডিনেটর। গোধূলি লগ্নে সেই পরিচয় বদলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ‘নির্দল’। ফেসবুকে বড় বড় করে ‘মমতা বাংলার গর্ব’ লেখা কভার ছবি থাকলেও দলের সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

MARCELINHO ATK MB

ফেসবুকে বড় বড় করে ‘মমতা বাংলার গর্ব’ লেখা কভার ছবি থাকলেও দলের সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। দল ছাড়তে চেয়ে চিঠি লিখেছেন তৃণমল কংগ্রেসের ‘অল ইন অল’ শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলীয় অনুশাসন মেনে সেই চিঠির একটি কপি পাঠিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকেও।

এ দিন সকালে বিধানসভায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে এসেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি ‘এখনও দলের প্রাথমিক সদস্য।’ একই সঙ্গে তিনি এও জানান, যা সিদ্ধান্ত নেবেন তা শনিবারই জানাবেন। অর্ধ দিবসও কাটল না, তৃণমূলকে ‘প্রাক্তন’ করে দিলেন রাজীব।

ছবি – ফেসবুক

দলনেত্রীকে লেখা ‘শেষ চিঠি’ ফেসবুকে পোস্ট করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, “বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে জানাচ্ছি, আমি তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। আমার কর্ম-সময়ের মধ্যে এমন অনেক মহান নেতার সান্নিধ্য পেয়েছি, যাঁরা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। আমি আমার সমস্ত প্রাক্তন সতীর্থদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আগাম অভিনন্দন জানিয়ে রাখছি। বাংলার উন্নতিকল্পে দলনেত্রী আমাকে যে যে সুযোগ দিয়েছেন তার জন্য তাঁর কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।”

ছবি – ফেসবুক

তৃণমূল থেকে রাজীবের বিচ্ছেদ পর্ব নিয়ে বিধানসভার বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, “নৌকা ডুবলে তো কেউ থাকে না, সবাই পালায়। তৃণমূল থেকে সবাই পালাচ্ছে।” একধাপ এগিয়ে তাঁর বক্তব্য, “বিজেপির সাপ্লাইলাইন এখন তৃণমূল। তৃণমূলের ওপর রাগ করে বিজেপিতে যাওয়া একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়। অনৈতিক। বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতি কখনও এমন ছিল না।”

আরও পড়ুন: ‘মাননীয়া মায়ের মতো’, হাতে মমতার ছবি, রাজীবের চোখে জল