Manik Bhattacharya: ব্রিটিশ গোয়েন্দা MI5 ডাকব? নিয়োগ মামলায় CBI-এর উপর চরম অনাস্থা প্রকাশ আদালতের
Manik Bhattacharya: সিট থেকে সদ্য অপসারিত সিবিআই অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসের জায়গায় এখনই কোন তদন্তকারী আধিকারিক নিযুক্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
কলকাতা : জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) ফের জেরা করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওএমআর শিটের মূল্যায়নকারী সংস্থার প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের এত ‘প্রেম’ কেন? সেই প্রশ্ন তুলে সিবিআই-কে তদন্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, সাতদিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে মানিককে। তবে সিবিআই তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এদিন বিচারপতি বলেন, ‘মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কি আমাকে যেতে হবে? আমি কি প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব?’ অন্যদিকে, সিট থেকে সদ্য অপসারিত সিবিআই অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসের জায়গায় এখনই কোন তদন্তকারী আধিকারিক নিযুক্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। সিবিআই-এর ওপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করে বিচারপতি বলেন, ‘আমাকে তো দেখছি সিবিআই এর পরিবর্তে ইংল্যান্ডের তদন্তকারী সংস্থা MI 5-এর ওপর ভরসা করতে হবে।’
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ হয়েছিল প্রাথমিকে। কেন অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশিত হল না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। সেই মামলায় এদিন প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে আদালতে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। ওএমআর বিকৃত করার বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন কি না, সে ব্যাপারেও প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
‘আপনাকে অনেক কিছু বলতে হবে’
রত্না চক্রবর্তী বাগচী জানিয়েছেন, অতিরিক্ত প্যানেলের বিষয়ে সবটাই জানতেন প্রাক্তন সভাপতি অর্থাৎ মানিক ভট্টাচার্য। ওএমআর শিটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রত্না বলেন, আমাকে এই মর্মে চিঠি লেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে নষ্ট করার কথা তাঁর জানা নেই বলে দাবি করেন রত্না। তিনি কবে থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে আছেন, তার আগে কী করতেন, সে সবও জানতে চান বিচারপতি। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের ইতিহাসের প্রাক্তন অধ্যাপিকা রত্নার কাছে এও জানতে চাওয়া হয় ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থার সঙ্গে কে যোগাযোগ রাখতেন? তিনি জানিয়েছেন, একমাত্র সভাপতি (মানিক ভট্টাচার্য) যোগাযোগ রাখতেন, আর কেউ রাখতেন না। বিচারপতি তাঁকে বলেন, ‘আপনাকে অনেক কিছু বলতে হবে।’ উত্তরে রত্না বলেন, ‘আমি যা জানি বলতে কোনও অসুবিধা নেই।’ যা জানেনস বটাই বলে দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন রত্না।