Recruitment Scam: অযোগ্যদের চাকরি যেতে পারে আজই, নিয়োগ দুর্নীতিতে আজ রায় শোনাবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
Recruitment Scam: সিবিআই বলছে ৯৫২। কমিশন কি অযোগ্যদের আড়াল করতে চাইছে? বিস্মিত বিচারপতিও।
কলকাতা: অযোগ্যদের জন্য সাবধানবাণী। আজই যেতে পারে চাকরি। বৃহস্পতিবার নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রায় দেবেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। অযোগ্য কত? কমিশন বলছে, ১৮৩। সিবিআই বলছে ৯৫২। কমিশন কি অযোগ্যদের আড়াল করতে চাইছে? বিস্মিত বিচারপতিও। স্কুলের চাকরিতে বেনিয়ম হয়েছে, মানছে স্কুল সার্ভিস কমিশনই। কিন্তু তার পরও কি অযোগ্যদের আড়াল করতেই ব্যস্ত কমিশন? প্রশ্ন তুলে দিল বুধবার হাইকোর্টে শুনানি-পর্ব। নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে অযোগ্য কত? এসএসসি আদালতকে জানায়, এখনও পর্যন্ত ১৮৩ জনকেই খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। র্যাঙ্ক জাম্প করেই সুপারিশ, মেনে নেয় কমিশন। কিন্তু একটু পরেই সিবিআই দাবি করে, সংখ্যাটা মোটেই ১৮৩ নয়, ৯৫২। তাহলে কমিশন সংখ্যাটা কমিয়ে দেখাল কেন? বিস্মিত হন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
কী ভাবে দুর্নীতি, তাও আদালতকে জানিয়েছে সিবিআই। দুর্নীতি করতে কারসাজি হয়েছে ওএমআর শিটে। কারসাজি করেছেন কমিশনের আধিকারিকরাই। দাবি সিবিআই-এর। OMR শিটে সাতটি প্রশ্নের উত্তর দেন এক পরীক্ষার্থী। নম্বর পান পাঁচ। এদিকে নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৫৩। অথচ নাম রয়েছে এসএসসি-র সুপারিশপত্রে। সিবিআই-এর দাবি, এরকমই বেনিয়ম হয়েছে OMR শিটে। ২০ জন প্যানেলভুক্ত ও ২০ জন ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীর OMR শিট আদালতকে জমা দিয়েছে সিবিআই। এ দিনও এসএসসি এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে, আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশের জন্য। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য আগেই বলেছেন, রাজ্য তদন্তে সহযোগিতা করুক। ১৮৩ জনকে খুঁজে পেলেও কেন তাঁদের চাকরি বাতিলের পথে হাঁটেনি রাজ্য, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার এই মামলার রায়দান, জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। বুঝিয়ে দিয়েছেন, অযোগ্যদের বিন্দুমাত্র রেহাই নেই।