Bowbazar: কোন বিকল্প মিশ্রণে আটকাবে জল? পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়রদের থেকে
KMRCL: কলকাতা পুরনিগম KMRCL-এর দেওয়া রিপোর্ট নিজেদের ইঞ্জিনিয়ারিং টিমকে দিয়ে আরও বেশি সুসংগঠিত করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের হাতে তুলে দিয়েছেন।
কলকাতা : কলকাতা পুরনিগম এবং কেএমআরসিএল বৈঠকে পুর প্রশাসনের তরফে যে রিপোর্টগুলি তলব করা হয়েছিল, সেগুলি হাতে পেয়েছে কলকাতা পুরনিগম। কাল বিকেলে তলব করা চারটি রিপোর্ট কেএমআরসিএল কর্তারা কলকাতা পুরনিগমের হাতে তুলে দিয়েছেন। কলকাতা পুরনিগম সেগুলি নিজেদের ইঞ্জিনিয়ারিং টিমকে দিয়ে আরও বেশি সুসংগঠিত করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের হাতে তুলে দিয়েছেন। মঙ্গলবার এমনই জানিয়েছেন কলকাতা পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগের ডিজি অনিন্দ্য কারফরমা।
এদিকে কলকাতা পুরনিগমের কমিশনার বিনোদ কুমার এবং বিল্ডিং বিভাগের ডিজি অনিন্দ্য কারফরমা আজ বৌবাজারের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁরা বিভিন্ন বাড়ির অবস্থা খতিয়ে দেখেন। উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে চারটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, জয়েন্ট বক্স বসানোর জন্য এখনও পর্যন্ত ২৯ মিটারের কংক্রিটের স্ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। বাকি রয়েছে ৯ মিটার স্ল্যাব তৈরির কাজ। এই ৯ মিটারের ১.৫ মিটার মাটি খোঁড়ার কাজ হচ্ছিল। সেখানেই দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ছিদ্র হয়ে জল বেরোতে শুরু করেছিল। এই পরিস্থিতি ওই এলাকায় এখন খনন কার্য করা যাবে না। সূত্রের খবর, বিকল্প কী পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়, সেই বিষয়ে উল্লেখ করা রয়েছে রিপোর্টে এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।
যে এলাকায় ফাটল দেখা গিয়েছে, ওই এলাকার মাটির অবস্থা নিয়েও চিন্তা রয়েছে। যে সব জায়গায় ‘ওয়াটার পকেট’ রয়েছে, সেগুলি কীভাবে পুরোপুরি বন্ধ করা যায়, সেই নিয়েও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, কী কারণে রুট বদল করা হয়েছিল সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। সিমেন্ট এবং যে রাসায়নিকের মিশ্রণ দিয়ে জল আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, তাতে সমস্যা হচ্ছে। ওই মিশ্রণ দিয়ে জল পুরোপুরি আটকানো যাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে বিকল্প কী পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে, কী ধরনের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে, তা নিয়েও পরামর্শ চাওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে।