Saraswati Puja in CU: TMCP-র পেজে কেন সরস্বতী পুজোর পোস্টার? আশঙ্কা প্রকাশ SFI-এর

Saraswati Puja in CU: আগেই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিশৃঙ্খলা, বেনিয়ম এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।

Saraswati Puja in CU: TMCP-র পেজে কেন সরস্বতী পুজোর পোস্টার? আশঙ্কা প্রকাশ SFI-এর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2023 | 11:32 AM

কলকাতা: সরস্বতী পূজা (Saraswati Puja) নিয়ে তরজা এখনও অব্যাহত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta Univesity)। এবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসএফআই জানাল, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ঝামেলা হতে দেবে না। গাইডলাইন মেনে যাতে পুজো হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে বলে দাবি করেছে এসএফআই (SFI)। প্রতিবারই পুজোর আয়োজন করেন ছাত্ররাই। তবে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। জানানো হয়েছে, খাওয়াদাওয়া ও প্রসাদ বিতরণের সব বন্দোবস্তই করবে টেন্ডার প্রাপ্ত এজেন্সি। তারপরও টিএমসিপি-র পেজে কেন পুজোর পোস্টার প্রকাশ করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এসএফআই। আগেই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিশৃঙ্খলা, বেনিয়ম এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। তবে তাঁদের দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল।

এসএফআই-এর তরফে দেওয়া প্রেস বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সংগঠনের দাবি, ক্যাম্পাসে সরস্বতী পুজোর নামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহিরাগতরা যে বিগত বছরগুলোতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। তার জেরেই ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পেজ থেকে কেন সরস্বতী পুজোর উদ্যোগ সংক্রান্ত পোস্টার পোস্ট হয়েছে, তা নিয়ে অভিযোগ তুলেছে এসএফআই।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত বছরে সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ক্যাম্পাসের সংস্কৃতি ও শৃঙ্খলা নষ্ট করেছে। আমরা এই বছর সরস্বতী পুজোয় ক্যাম্পাস পাহারায় থাকব, যাতে গত বছরের মত ক্যাম্পাসের সুস্থ পরিবেশ নষ্ট না হয়।

এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রনেতাদের বিশ্বাস করতে পারছে না, সে কারণে আলপনাতেও টেন্ডার ডাকতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতির কর্মী হিসেবে লজ্জা হচ্ছে। তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবজারভার অভিরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ যেটা ঠিক করেছে, সেটা তাদের ব্যাপার। তারাই জানে, কেন এই গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর আমরা পুজো করি। এবারও আবেদন জানিয়েছিলাম। পুজোটা যে হচ্ছে, তাতে আমরা খুশি।’