Singer KK Death: সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা, একটু একটু করে ফুরিয়েছেন কেকে

Singer KK Death: ঘণ্টা দেড়েক পেরোতেই শুরু হয় কেকের অস্বস্তি...এই চার ঘণ্টায় কি একটু একটু করে ফুরিয়েছেন কেকে?

Singer KK Death: সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা, একটু একটু করে ফুরিয়েছেন কেকে
'মনে থাকবে তুমি'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2022 | 3:01 PM

কলকাতা: সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা। দেশ হারাল সর্বভারতীয় এক সঙ্গীতশিল্পীকে। কলকাতা এক চরম আকস্মিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল। নজরুল মঞ্চে যখন কেকে এসেছিলেন, তিনি চনমনে। সারা দিন মহড়া দিয়েছিলেন, উত্তেজনা তাঁর চোখেমুখে প্রকাশ পাচ্ছিল। কলকাতাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ধরেছিলেন গানের অন্তরা। কিন্তু সময় ঘণ্টা দেড়েক পেরোতেই শুরু হয় কেকের অস্বস্তি…এই চার ঘণ্টায় কি একটু একটু করে ফুরিয়েছেন কেকে?

  1. বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। সন্ধা ছ’টা নাগাদ মঞ্চে ঢোকেন কেকে। সূত্রের খবর, ভিড় এতটাই বেশি ছিল, গাড়ি থেকে বেশ কিছুক্ষণ নামতেই পারেননি শিল্পী।
  2. ৬.১০ এ মঞ্চে ঢোকেন শিল্পী। বাইরে তখন তুমুল উত্তেজনা। সাত নম্বর গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন দর্শকরা। ছত্রভঙ্গ করতে উদ্যোক্তাদের অনেকে ফায়ার এক্সটিংগুইশর স্প্রে করে দেন।
  3. সাড়ে ছ’টার মধ্যে সব কটা গেট খুলে দেওয়া হয়। কেএমডিএ-এর এক কর্মীর দাবি, ধাক্কাধাক্কিতে ভেঙে যায় দুটি গেটও।
  4. মঞ্চে ব্যাপক ভিড়। ফ্ল্যাশ লাইট। ‘তু আশিকি হ্য়ায়’ সুর তুলেছিলেন কেকে। ২০টা গানের তালিকা তৈরি করেছিলেন। শেষ গান ছিল পল… হাম রহে ইয়া না রহে কাল…কাল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল…
  5. অনুষ্ঠানের শুরুতে তাঁকে মঞ্চে রীতিমতো দাপিয়ে বেরাতে দেখা গিয়েছে। ধীরে ধীরে তাঁর শারীরিক ভঙ্গিমায় বেশ কিছু অস্বস্তি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে।
  6. অনুষ্ঠানের মাঝেই কেকে বারবার মঞ্চের পিছন দিকে চলে যাচ্ছিলেন। টেবিলে রাখা সাদা রুমাল দিয়ে ঘাম মুছছিলেন। একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কেকে ইশারায় বলেছিলেন, এসি কাজ করছে না। স্পট লাইট বন্ধ করতে বলেছিলেন তিনি।
  7. মাঝে একবার অনুষ্ঠান থামাতে হয়েছিল কেকে-কে। অনুষ্ঠানের মাঝেই রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পাঁচ-সাত মিনিটের জন্য তিনি বিশ্রামে যান। রেস্ট রুমে এসি ঠিকঠাক কাজ করছিল। সেখানে একটু বিশ্রাম নিয়ে তিনি আবার মঞ্চে ফেরেন। ভিড় যে ব্যাপক ছিল, তা কেএমডিএ-এর কর্মীর কথাতেই স্পষ্ট ছিল।
  8. রাত পৌনে ন’টার কিছু পর নজরুল মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যান শিল্পী। রাত ৯.১৫ মিনিট নাগাদ পৌঁছন মধ্য কলকাতার পাঁচ তারা হোটেলে।
  9. গাড়িতে তখন ছিলেন ম্যানেজার। ম্যানেজার বলেন, “আমার শো শেষ করেই হোটেলে পৌঁছেছিলাম। গাড়িতে ওঠার সময়েই তিনি বলেছিলেন, হাতে-পায়ে অদ্ভুত টান ধরছিল। ঠান্ডা লাগছিল তাঁর। আমাকে বললেন, এসি বন্ধ করে দিতে। আমি ওঁকে ধরেই হোটেলের ওপরে উঠি।”
  10. হোটেলে পৌঁছে লিফটে করে চার তলায় ওঠেন তাঁরা। হোটেলের ৪২৮ নম্বর রুমটি ছিল কেকে-এর।
  11. রুমের ভিতরে চেয়ারে বসে হোটেলের রিসেপশনে ফোন করেন তিনি। অস্বস্তির কথা জানিয়ে কাউকে রুমে পাঠানোর জন্য বলেছিলেন। তারপরেই চেয়ার থেকে পড়ে যান। সামনে থাকা টেবিলে মাথায় আঘাত লাগে।
  12. তারপরে স্ট্রেচারে করে নামিয়ে নিয়ে আসা হয় শিল্পীকে। হোটেলের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সঙ্গে ছিলেন ম্যানেজার এবং হোটেলের কর্মী। রাত ১০টা নাগাদ সিএমআরআই হাসপাতালে পৌঁছয় কেকের গাড়ি। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
  13. হোটেলের রুম থেকে পাওয়া গিয়েছে রুমাল, খাবারের টুকরো অংশ এবং টাওয়াল।