Sitalkuchi Case: শীতলকুচি কাণ্ডে তদন্তভার নিতে প্রস্তুত, হাইকোর্টে জানাচ্ছে সিবিআই
Sitalkuchi Case: শীতলকুচির ঘটনায় সিআইডি তদন্তের রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শীতলকুচির গুলি চালানোর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।
কলকাতা: শীতলকুচি গুলি চালনার ঘটনায় তদন্তভার নিতে চায় সিবিআই। তদন্তভার নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে সেই আবেদনের শুনানি রয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, এটা ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার মধ্যে পড়ে। তাই তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়া হোক। এই মুহূর্তে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। একাধিকবার তলব করা হয়েছিল সিআইএসএফ জওয়ানদের।
শীতলকুচির ঘটনায় সিআইডি তদন্তের রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শীতলকুচির গুলি চালানোর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানতে চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এই ঘটনায় দুটি এফআইআর হয়। একটি সিআইএসএফ ও একটি তৃণমূলের তরফে এফআইআর করা হয়। আদালতের তলবের মাস দেড়েকের মধ্যেই রিপোর্ট পেশ করে সিআইডি। নিহতদের পরিবারের তরফে আদালতে বলা হয়, তাঁদের সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। সিআইডি তদন্তের সন্তুষ্ট তাঁরা। অবশ্য এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, নিহতদের পরিবার যখন একথা জানিয়েছে, তার আগেই রাজ্য সরকারের তরফে চাকরির আশ্বাস পেয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট ছিল সেদিন। শীতলকুচির বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। রাত থেকে কড়া পাহারা ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। ছিল পুলিশের নজরদারিও। এমনকী তৎপর ছিল নির্বাচন কমিশনও। তারপরেও রোখা সম্ভব হয়নি হিংসা। ভোটের দিন সকালেই পাঠানটুলিতে আনন্দ বর্মন নামে ২৩ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়। তার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে খবর আসে মাথাভাঙা ও শীতলকুচির মধ্যবর্তী এলাকা জোরপাটকিতে গুলি চালায় সিআইএসএফ। তাতে চার জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার গোটা বাংলায় শোরগোল পড়ে যায়।