Suvendu Adhikari: FIR না করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ রাজ্য

Suvendu Adhikari: আদালত জানিয়েছে এদিন বিকেল চারটের মধ্যে মামলা দায়ের করে সব পক্ষকে নোটিস দিয়ে হাজির করতে হবে, তবেই মামলা শুনতে পারে আদালত।

Suvendu Adhikari: FIR না করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ রাজ্য
শুভেন্দু অধিকারীর এফআইআর সংক্রান্ত মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2022 | 3:25 PM

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা ফিরিয়ে দেওয়ার পর এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। হাইকোর্ট আগেই রক্ষাকবচ দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও এফআইআর করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলে ফের হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলা হয় রাজ্যকে। এরপর বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে আবেদন করল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই গৃহীত হয়েছে সেই মামলা।

বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের করা মামলাটি উঠেছিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। রাজ্যের তরফে আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। এরপর দুপুরে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে আবেদনে করে রাজ্য। এদিনই যাতে শুনানি হয়, সেই আবেদন করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে এদিন বিকেল চারটের মধ্যে মামলা দায়ের করে সব পক্ষকে নোটিস দিয়ে হাজির করতে হবে, তবেই মামলা শুনতে পারে আদালত।

কী ছিল হাইকোর্টের নির্দেশ?

সভায় বক্তব্য রাখলে বা টুইট করলেও এফআইআর হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সব এফআইআরে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই মামলায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে যতগুলি এফআইআর হয়েছে, তার সবকটিতে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশ ছিল, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও এফআইআর করা যাবে না। এফআইআর করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হল রাজ্য।

বুধবার আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় কম্বল বিতরণের সময় হুড়োহুড়িতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুভেন্দু যদিও দাবি করেছেন, তিনি সভাস্থল ছেড়ে চলে যাওয়ার পরই ওই ঘটনা ঘটেছে। তবে, শাসক দল এই ঘটনার দায় শুভেন্দুর দিকেই ঠেলছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কুণাল ঘোষ প্রত্যেকেই এই ইস্যুতে আঙুল তুলেছেন শুভেন্দুর দিকে। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য।