Body found at medical college: ‘পড়া মনে রাখতে পারছি না’, বাড়িতে বলেছিলেন, হস্টেল থেকে উদ্ধার ছাত্রীর দেহ
Body found at medical college: সোমবার বিকেল ৪ টে পর্যন্ত ক্লাস করেছেন ওই ছাত্রী। তারপর মধ্যাহ্নভোজ সেরে হস্টেলে যান।
কলকাতা : ফের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার শহরে। কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হস্টেলের ঘরের ভিতর থেকে। মৃতার নাম প্রদীপ্তা দাস (২৩)। তিনি সোদপুরের বাসিন্দা। সোমবার বিকেল ৪ টে পর্যন্ত কলেজে ক্লাস করেন ওই ছাত্রী। এমবিবিএসের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ছিলেন তিনি। তারপর নিজের ঘরেই ছিলেন তিনি। তাঁর রুমমেটই প্রথম প্রদীপ্তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। ওই ছাত্রী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলে অনুমান করছে, তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘটনাটি প্রথম নজরে আসে। প্রদীপ্তার গলায় লাগানো ছিল ওড়নার ফাঁস। জানা গিয়েছে, এ দিন তাঁর রুমমেট ক্যান্টিনে খাবার আনতে গিয়েছিলেন। তিনি ফিরে এসে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। প্রদীপ্তাকে বারবার ডেকেও কোনও সাড়া পাচ্ছিলেন না তিনি। এরপর সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করেন তিনি।
এরপর দরজা ভেঙে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ফাইনাল ইয়ারের ওই মেধাবী ছাত্রী। কিছুদিন আগে মনোবিদও দেখিয়েছিলেন তিনি। তৃতীয় বর্ষে ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন প্রদীপ্তা। এবারের পরীক্ষা নিয়ে তিনি উদ্বেগে ছিলেন। বাড়িতে জানিয়েছিলেন, কিছু মনে রাখতে পারছিলেন না বলে বাড়িতে জানিয়েছিলেন। মেয়েকে চাপ নিতে বারণ করেছিলেন বাবা। পড়াশোনার জন্য মানসিক চাপেই এমন পদক্ষেপ বলে ধারণা পুলিশের। প্রদীপ্তার বাবাও তেমনটাই জানিয়েছেন পুলিশকে।
শনিবার বাড়ি গিয়েছিলেন প্রদীপ্তা। রবিবারের ছুটি কাটিয়ে ফিরে আসে সোমবার সকালে। দুপুরে ক্লাস শেষে মধ্যাহ্নভোজও সারেন। তারপর যান হস্টেলে। এ দিন মায়ের সঙ্গে ফোনে কথাও হয় তাঁর। তারপরই এই ঘটনা।