Sukanta Majumdar: তৃণমূলের সঙ্গে হেরোইন যোগের অভিযোগ সুকান্তর
Bengal BJP: হেরোইন পাচারে তৃণমূলের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এমনকী ব্লক সভাপতির নামও উল্লেখ করেন তিনি।
কলকাতা: বাগ যুদ্ধে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। যার জেরে পারদ চড়ছে ক্ষণে-ক্ষণে। তৃণমূলের সঙ্গে হেরোইন যোগের অভিযোগ তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। হেরোইন পাচারে তৃণমূলের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এমনকী ব্লক সভাপতির নামও উল্লেখ করেন তিনি।
সুকান্ত মজুমদারের প্রতিক্রিয়া
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘শ্যামাপ্রসাদ পোর্টে মাদক ভর্তি কনটেনার আটক হয়। সেটি আটক হওয়ার পর শেখ শাহজাহান কেন অন্তত পক্ষে সতেরো-আঠারো বার রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর চেম্বারে এসে বৈঠক করেছেন। কে সেই মন্ত্রী? তিনি কি এই মাদকের লগ্নীকারী? যার এই সরকারে আসার পর দফতর পরিবর্তন হয়েছে? বা দফতর পরিবর্তনে বাধ্য হয়েছেন দুর্নীতির জন্য।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলকে দায়িত্ব নিয়ে বলতে হবে শরিফুল এখন কোথায়? তার ব্লক সভাপতিকে সামনে এনে তৃণমূল কি বলতে পারবে এই ঘটনার সঙ্গে তারা যুক্ত নয়। একজন দেশি নৌকা তৈরি করেন সেই ব্যবসায়ী ২০০ কোটি টাকার হেরোইন গিয়ার বক্সের মধ্যে লুকিয়ে প্রায় ৪০ কেজি মাদক এনেছেন। সে কেন এত গিয়ার বক্স কিনছে সেটি প্রশ্ন।’
রাজ্য বিজেপি-র আরও দাবি, তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে ওই মাদক ব্যবসায়ীদের কী কথাবার্তা হয়েছে তার রেকর্ডিংও তাদের কাছে রয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, এই তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল সেক্রেটারি জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি মূলত তদন্ত প্রক্রিয়া চালান। ফলত, এই ২০০ কোটি টাকা যা বিনিয়োগ হয়েছে মাদক কেনার ক্ষেত্রে সরাসরি গেরুয়া শিবির প্রশ্ন তুলছে এই টাকা কার। সুকান্ত বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস শরিফুল মোল্লাকে হাজির করুক। এখন সিআইডি জেলায়-জেলায় গিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ছবি তুলে আনছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে বলছি আপনারা শুধু জানুন যে শরিফুল মোল্লা কোথায়। কারণ এরপর এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত হবে এটা আমার বিশ্বাস।’
জয়প্রকাশ মজুমদারের প্রতিক্রিয়া
যদিও গোটা বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে, তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘কয়েকদিন আগে জানতে পেরেছিলাম বিজেপির রাজ্য দফতর গুণ্ডাদের আড্ডাখানা। কিন্তু সেটি যে একটি তদন্তেরও কেন্দ্রস্থল সেটা জানতাম না। ওখান থেকে এখন রাজ্যের অন্য অন্য ঘটনার তদন্ত হচ্ছে জানতাম না। ওরা যা তদন্ত করেছে তা পুলিশকে জানাবে। কথায় কথায় পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করছেন। সব সময় সিবিআই, ইডি, এনআইএ তদন্তের কথা বলেন। আজও তেমনটাই বলে দিলেন। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে বিজেপি রাজ্য দফতর ঠিক করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ কোথায় তদন্ত করবে কোথায় না।’
কোন ঘটনার জন্য বিজেপির এহেন দাবি?
বস্তুত, গত ৩ জানুয়ারি অসম থেকে পাচারের পথে গভীর রাতে কলকাতার একটি ট্রাক থেকে প্রায় ২২ কোটি টাকা মূল্যের মাদক উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। উদ্ধার হয় ২ কেজির হেরোইন ও ইয়াবা ট্যাবলেট। তদন্তকারীদের ধারনা বাংলাদেশ পাচারের উদ্দেশে ব্যবহৃত হচ্ছিল সেটি। সেই পাচারের কোটি টাকা আসলে এসেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের এক কর্মীকে সরবরাহ করার জন্য। এদিন এমনটাই দাবি করে বিজেপি।
বিজেপির দাবি, শরিফুল এন্টারপ্রাইজের নামে এসেছিল মাদক পাচারের টাকা। ওই সংস্থার মালিক শরিফুল ইসলাম মোল্লা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। শরিফুল সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা এবং শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ।