Sukanta Majumdar: ঠিকাদারি ছেড়ে তৃণমূল করতে গেলে, দলটা অর্ধেক হয়ে যাবে: সুকান্ত
Sukanta Majumdar: অভিষেক কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন, ব্যাঙ্ক ব্যালান্স দেখে কাউকে ভোটে টিকিট দেওয়া হবে না। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকলে তবেই হতে পারবেন প্রার্থী।
কলকাতা : হয় ঠিকাদারি করুন, নাহলে তৃণমূল করুন। হলদিয়ার পর ধূপগুড়িতে গিয়েও একই পর দলের নেতা-কর্মীদের এই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই বার্তার পরই শাসক দলকে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ঠিকাদারি ছেড়ে তৃণমূল করতে গেলে, দলটা অর্ধেক হয়ে যাবে।’ একই সঙ্গে অভিষেক উত্তরবঙ্গ নিয়ে যে বার্তা দিয়েছেন, তার পাল্টা জবাবে সুকান্তর দাবি, তৃণমূলই কার্যত বিভাজন উস্কে দিয়েছিলেন। অভিষেক মমতার পথে চলছেন বলেও মন্তব্য করেন সুকান্ত।
মঙ্গলবার ধূপগুড়িতে ছিল অভিষেকের সভা। সেখানেই তিনি বলেছেন,দাদা দিদিদের পা ধরে টিকিট পাওয়া যাবে না। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্ত বলেন, কিছু একটা সমস্যায় আছেন, তাই এ সব বলতে শুরু করেছেন অভিষেক। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তার উল্টোটা করেন, অভিষেকও সেই পথেই হাঁটছেন।
পৃথক বাংলা ইস্যুতে বিজেপির নাম উল্লেখ করে তোপ দেগেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, উত্তরবঙ্গ বলে তৃণমূলের অভিধানে আর কিছু থাকবে না। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেছেন, ‘বাংলা ভাগ করে দেখান।’ এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদের দাবি, উত্তরবঙ্গ -দক্ষিণবঙ্গ বিভাজন আগেও ছিল। তাঁর প্রশ্ন, জিটিএ কেন করেছিলেন? তাঁর মতে, তৃণমূল কার্যত বিভাজন উস্কে দিয়েছিলেন এ ভাবেই।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ধূপগুড়ির সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে কর্মীদের একগুচ্ছ বার্তা দেন অভিষেক। ‘ঠিকাদারি’ মন্তব্যের রেশ টেনেই অভিষেক বলেন, ‘হয় তৃণমূল করুন, নাহলে ঠিকাদারি করুন। দুটো একসঙ্গে হবে না। আমরা সারা বাংলায় এটা বাস্তবায়িত করে দেখাব।’ কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘ব্যাঙ্ক ব্যালান্স থাকলে নির্বাচনে টিকিট পাবেন না, মানুষের কাছ থেকে সার্টিফিকেট পেলে, তবেই টিকিট পাবেন।’ এর আগেই হলদিয়া থেকেও একই বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে দল করার কথা বলেন তিনি।