Suvendu Adhikari: শান্তিনিকেতনে শিশু খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় প্রতিবাদ বিজেপি বিধায়কদের

BJP MLA: বিধানসভার ভিতরে এ নিয়ে স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়করা। তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে। এর পরই অধিবেশন থেকে ওয়াকআউটও করেছেন বিজেপি বিধায়করা।

Suvendu Adhikari: শান্তিনিকেতনে শিশু খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় প্রতিবাদ বিজেপি বিধায়কদের
suvendu assembly
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2022 | 1:21 PM

কলকাতা: বছর পাঁচেকের বাচ্চা ছেলে শিবম ঠাকুরের খুনের ঘটনা ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তাল বীরভূমের শান্তিনিকেতনের মোলডাঙ্গা গ্রাম। অভিযুক্ত রুবি বিবির বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই ঘটনা নিয়ে এ বার বিধানসভায় সরব হল বিজেপি। বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেছেন। বিধানসভার ভিতরে এ নিয়ে স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়করা। তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে। এর পরই অধিবেশন থেকে ওয়াকআউটও করেছেন বিজেপি বিধায়করা। বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদ করছেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “ছাদে পলিথিনে মোড়া এই নিষ্পাপ বাচ্চার দেহ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশমন্ত্রী চোরেদের বাঁচানোর জন্য বিধানসভায় এসে ইডি, সিবিআই-এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে পারেন। কিন্তু এই বাচ্চাটার হয়ে বলতে আমরা অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই তিনি সে কথায় কর্ণপাত করেননি। আমরা এ নিয়ে ভিতরে প্রতিবাদ করেছি। বাইরে প্রতিবাদ করছি। আমাদের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও বিধায়ক অনুপ সাহার নেতৃত্বে ওই বাচ্চার পরিবারের কাছে যাওয়া হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত রুবি বিবির ফাঁসি দাবি করছি। ১৮ তারিখ খবর দেওয়া সত্ত্বেও শান্তিনিকেতন পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। সেই ওসিকে গ্রেফতার, পুলিশ সুপারকে ক্লোজ করার দাবি করছি। এবং এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গে শুধু বিজেপি কর্মী এবং নারীরা নয়, ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও সুরক্ষিত নয়।”

শুভেন্দুর বক্তব্যের পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “ঘটনা অত্যন্ত খারাপ এবং দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু সবাই বুঝতে পারছে বিজেপি গণ্ডগোল করে অস্থিরতা তৈরির জন্য়ই এগুলি করছে। কারণ এর সঙ্গে সার্বিক আইনশৃঙ্খলার কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও ব্য়ক্তিগত রসায়নে, ব্যক্তিগত আক্রোশে এই ধরনের কুৎসিত ঘটনা ঘটান তার সঙ্গে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা কী করে সম্পর্ক থাকতে পারে? ব্যক্তিগত জায়গা থেকে প্রতিহিংসার ঘটনা ঘটনা, সেটা নিন্দনীয়। কিন্তু তার সঙ্গে সরকারকে জড়াতে যায়, তাহলে তাঁরা গণ্ডগোলের ইস্যু খুঁজছে। সিবিআই-এর দাবি করা তো হাস্যকর। পুলিশ তদন্ত করছে, রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে।”

এ ব্যাপারে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেছেন, “শিবম ঠাকুর কাণ্ডে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে । দোষী রা শাস্তি পাবে । তবে তাই বলে বিধানসভার ভেতরে বিরোধী দল সাংবিধানিক রীতি নীতি মানছে না।” স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়ে অবগত  একটা কথা আমরা বারে বারে বলি, হাউজের ভিতরে পোস্টার স্লোগান প্রতিবাদ না করতে। তবু বিরোধীরা সাংবিধানিক রীতিনীতি মানছেন না। আমরা সবার সাহায্য নিয়েই সভার বিজনেস চালাতে চাই।”