Suvendu Adhikari: ‘পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই’, বেনাম আবেদন মামলার দুর্নীতির আঁচ এবার বিধানসভায়

Suvendu Adhikari: স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা খারিজ করে দেন। মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পরই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।

Suvendu Adhikari: 'পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই', বেনাম আবেদন মামলার দুর্নীতির আঁচ এবার বিধানসভায়
বিধানসভায় সোচ্চার শুভেন্দু অধিকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2022 | 3:20 PM

কলকাতা: বেনামি আবেদন মামলা, এবার এই ইস্যুতে তোলপাড় বিধানসভা। সোমবার বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন তাঁরা। মামলাটি বিচারাধীন বলে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা খারিজ করে দেন। মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পরই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। নিয়োগ দুর্নীতির আঁচে তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। বাইরে সাংবাদিকদের সামনে গোটা ক্যাবিনেটের গ্রেফতারির দাবি তোলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এই ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্তের জন্য, যেটা হাইকোর্ট চেপে ধরেছে, এই অযোগ্যদের নিয়োগের সুপারিশ কারা করল? এর পিছনে কে?” তিনি অভিযোগ করেন, “এটা তো পরিষ্কার, মাননীয়ার নেতৃত্বে মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতে এটা হয়েছে। পুরো ক্যাবিনেটের জেল চাই। আমরা পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতার চাই এই ইস্যুতে।”

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই বেনামি আবেদন মামলায় শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের সওয়াল জবাবের সময়ে কড়া ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার হাইকোর্টে মণীশ জৈন সরাসরি জানিয়েছেন, এই শূন্যপদ তৈরি করার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার। মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “রাজ্য কেন বেআইনিভাবে নিযুক্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছে? গণতন্ত্র কি আদৌ সঠিক লোকের হাতে রয়েছে? সন্দেহ রয়েছে।”

বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “অযোগ্যদের চাকরি বাঁচাতে কীভাবে ক্যাবিনেট এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে?” এরপরই বিচারপতির উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ, “ক্যাবিনেটতে বলতে হবে অযোগ্যদের পাশে নেই। এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে এমন পদক্ষেপ করব, যা গোটা দেশে হয়নি। আমি ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দিতে পারি। সবাইকে এসে উত্তর দিতে হবে। ক্যাবিনেট সদস্যদের শোকজ করতে পারি।”

শিক্ষাসচিবকে তলব সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর ইতিমধ্যেই স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও তারপরও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টির ওপর নিজের পর্যবেক্ষণ বদলাচ্ছেন না। শুক্রবারের এই সওয়াল জবাবের আঁচ পড়ে বিধানসভাতেও। এদিন শুরু থেকেই এই ইস্যুতে সোচ্চার হন বিজেপি বিধায়করা।