Suvendu Adhikari: এ বার ছড়া লিখলেন শুভেন্দু অধিকারীও, কিন্তু কাব্যাঘাতের লক্ষ্য কে!?

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করেছেন একটি ছড়া।

Suvendu Adhikari: এ বার ছড়া লিখলেন শুভেন্দু অধিকারীও, কিন্তু কাব্যাঘাতের লক্ষ্য কে!?
শুভেন্দু অধিকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2022 | 12:12 AM

কলকাতা: বেহালায় প্রাক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়ে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া এক নেতার উদ্দেশে নাম না করে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আক্রমণের কয়েক ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই ধেয়ে এল শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করেছেন একটি ছড়া। সেই ছড়াতেই নাম না করে আক্রমণ করেছেন তিনি। ২৮ লাইনের সেই ছড়াতেই ছত্রে ছত্রে রয়েছে কটাক্ষের সুর। সেই ছড়ার টুইটে তিনি লিখেছেন, “পাগলের (সেয়ানা পাগল) প্রলাপ হোক অথবা ভয় পেয়ে ভুল ভাল বকা, শুনে বেশ মজা পেলাম।”

শুভেন্দুর পোস্ট করা সেই ছড়া শুরুই হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত মণ্ডলকে আক্রমণ করে। সেখানে লেখা হয়েছে, “চোরে চোরে মাসতুতো ভাই, / কেষ্ট দিদির প্রিয় তাই। / যদি কেষ্ট জেল খাটে, / লুটের ভাগ উঠবে লাটে।” অনুব্রতকে গ্রেফতার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলার বিষয়টিও রয়েছে ছড়ায়। লেখা হয়েছে, “কেন করেছো গ্রেফতার? / কি এমন করেছে? / মনে মনে ভয় আবার / মুখ খুললেই মরেছে!”

ছড়ার পরবর্তী অংশে বিধানসভা ভোটে একটি হেভিওয়েট আসনে যুযুধান দুই পক্ষের লড়াইয়ের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। লেখা হয়েছে, “সব নাটের গুরু ওই ব্যাটা, / ওর কাছে হেরে, গেছে আমার নাক কাটা। / কিছুতেই আনতে পারছি না বাগে, বুক ফেটে যায় আমার রাগে। / দিলাম এত কেস, লেলিয়ে দিলাম পুলিশ, / উল্টে আমাকেই করে দিচ্ছে পালিশ।” ছড়ার পরবর্তী অংশ দিল্লি এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেখানে লেখা হয়েছে, “বলে নাকি দিল্লিতে দিয়ে এসেছে তালিকা, / কি করি কি করি, আমি তো আর নয় নিষ্পাপ বালিকা। / আমার ও তো লাগে ভয়, / কে এবার জেলে যাবে, কে বাইরে রয়?”

কবিতার শেষের অংশে নাম না করে রাজ্যের শাসকদলের প্রতি কটাক্ষও রয়েছে। ছড়ায় লেখা হয়েছে, “ঘর দেখবো না বাইরে, / দলটাই উঠে যায়, হায় রে। / তাই পার্থ হোক বা কেষ্ট হোক, এবার হাসছে রাস্তার লোক। / ফুরিয়ে আসছে গলার জোর, / সবাই জেনে গিয়েছে আমরা চোর।”

বেহালার সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বলেছিলেন, “আমি অনেক ভুক্তভোগী আমি অনেক দেখেছি। রাস্তায় পড়ে থেকেছি। কার কী ভূমিকা সব দেখেছি। বলতে পারিনি প্রশংসা করেছি। তাঁর কারণ নিজের বিষ নিজেকে হজম করতে হয়েছিল তো। আমাদের দলে ছিল তখন তাই। তৃণমূল কংগ্রেস গড়ার সময় দলে ছিল না। পরে এসেছে। ঠিক ভোটের আগে গদ্দারি করে পালিয়েছে। আজ অন্যের টাকার হিসাব নিচ্ছে। যদি আমরা জিজ্ঞাসা করি, তোমার ক’টা বাড়ি, তোমার ক’টা গাড়ি, তোমার ক’টা পেট্রোল পাম্প, তোমার ক’টা ট্রলার, তুমি মুর্শিদাবাদ, মালদহ, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায় কী করেছ, সব চাকরি তো তুমিই দিয়েছ বাবা।”