Suvendu Adhikari: ‘ব্রাত‍্য বসু তো কমিউনিস্ট’, শুভেন্দুর খোঁচায় শিক্ষামন্ত্রীর পাল্টা, ‘আগে পরে, মাঝে তৃণমূল, পরে বিজেপি তো নই’

Suvendu Adhikari Vs Bratya Basu: বঙ্কিমচন্দ্র গ্রন্থাগারে বঙ্কিমচন্দ্রের ছবিতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই রাস্তায় যাওয়ার পথে তাঁকে বেগ পেতে হয়। রাস্তায় অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। পলেস্তরা বেরিয়ে গিয়েছে। তাতে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, তিনি আসবেন, এটা জেনেই রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এরপর ওই এলাকাতেই একটি অস্থায়ী মঞ্চে ভাষণ রাখেন শুভেন্দু। 

Suvendu Adhikari: ব্রাত‍্য বসু তো কমিউনিস্ট, শুভেন্দুর খোঁচায় শিক্ষামন্ত্রীর পাল্টা, আগে পরে, মাঝে তৃণমূল, পরে বিজেপি তো নই
শুভেন্দু অধিকারী ও ব্রাত্য বসুImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 07, 2025 | 10:22 PM

কলকাতা:  ‘বন্দে মাতরম’ এর ১৫০ বছর উদযাপন। ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি থেকে কলেজস্ট্রিট পর্যন্ত মিছিল করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বঙ্কিমচন্দ্রকেই নিয়ে আরও একবার শাসক-বিরোধী নেতৃত্বের তরজা! ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রকে সম্মান জানাতে গিয়েই রাজ্য সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বিঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ব্রাত‍্য বসু তো কমিউনিস্ট। দেশকে সম্মান করে না। ব্রাত‍্য বসুর হেড অফিস চিনে। বঙ্কিমচন্দ্রকে শ্রদ্ধা করবেন কী করে?”

 

প্রসঙ্গত, এদিন বঙ্কিমচন্দ্র গ্রন্থাগারে বঙ্কিমচন্দ্রের ছবিতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই রাস্তায় যাওয়ার পথে তাঁকে বেগ পেতে হয়। রাস্তায় অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। পলেস্তরা বেরিয়ে গিয়েছে। তাতে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, তিনি আসবেন, এটা জেনেই রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এরপর ওই এলাকাতেই একটি অস্থায়ী মঞ্চে ভাষণ রাখেন শুভেন্দু।

ব্রাত্য বসুকে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, “যে যাঁর নিজের নাম পরিবর্তন করে ব্রাত্য বসুর জায়গায় ভৃত্য বসু হয়ে গিয়েছেন, তাঁর সম্পর্কে আর কী বলার রয়েছে।” যদিও এর উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বিরোধী দলনেতা আমাকে নকশাল বলেছিলেন। এখন কমিউনিস্ট বলছেন। আমি তো আগে কংগ্রেস তারপর তৃণমূল পরে বিজেপি নই।” কথা প্রসঙ্গেই এই প্রেক্ষিতে তাঁর সংযোজন, “আর রইল বঙ্কিমচন্দ্রের কথা। বিরোধী দলনেতাকে চ্যালেঞ্জ করছি, আসুন না মুখোমুখি বঙ্কিমচন্দ্রকে নিয়ে কথা হোক।”

আসলে এই বিতর্কের সূত্রপাত শুক্রবার সকালেই। তবে তা কর্নাটক থেকে। কর্নাটকের একটি সভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সঙ্গীতকে ‘ইংরেজ বন্দনার’ সঙ্গে জুড়ে দেন সেখানকার উত্তরা কন্নড় লোকসভার কেন্দ্রের সাংসদ বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাগেড়ি। তাঁর সমালোচনা প্রসঙ্গেই ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, “ওরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করেছে, আমরা তার বিরোধিতা জানাই। জন গণ মন গানের সঙ্গে পঞ্চম জর্জের আসা বা যাওয়ার কোনও সম্পর্ক নয়। এটা তাঁর জানার কথাও নয়। উনি তো বিজেপির লোক।” এর পাল্টাই শুভেন্দু যখন বঙ্কিমচন্দ্রের মূর্তিতে মাল্যদান করেন, তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নে উঠে আসে এই প্রশ্ন। তাতেই পাল্টা ব্রাত্য বসুকে খোঁচা দেন শুভেন্দু।