Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের পাঠানো টাকা অন্য খাতে ব্যবহারের অভিযোগ, নির্মলাকে চিঠি শুভেন্দুর

Suvendu writes to Nirmala: শুভেন্দুর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের একটি অংশের টাকা তুলে নিয়ে রাজ্যের ইমারজেন্সি রিলিফ ফান্ডের অ্যাকাউন্টে ফেলা হচ্ছে এবং পরে তা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

Suvendu Adhikari: কেন্দ্রের পাঠানো টাকা অন্য খাতে ব্যবহারের অভিযোগ, নির্মলাকে চিঠি শুভেন্দুর
নির্মলাকে চিঠি শুভেন্দুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 30, 2022 | 8:25 PM

কলকাতা: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কাছে রাজ্যের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা ‘বেআইনিভাবে’ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে পাঠানো দুই পাতার চিঠিতে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, পাবলিক ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের জন্য রাজ্য সরকার যে ব্যাঙ্কে অ্য়াকাউন্ট খুলেছে, ওই ব্যাঙ্কেই রয়েছে রাজ্যের ইমারজেন্সি রিলিফ ফান্ডের অ্যাকাউন্ট। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা (যেগুলি ১০০ শতাংশ ভার কেন্দ্র বহন করে) সেগুলি এই পাবলিক ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমেই আসে। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের একটি অংশের টাকা তুলে নিয়ে রাজ্যের ইমারজেন্সি রিলিফ ফান্ডের অ্যাকাউন্টে ফেলা হচ্ছে এবং পরে তা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, যখন এই প্রকল্পগুলির টাকা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতে পাঠানো হচ্ছে, তখন সেই কাজে অনেকটা দেরি হচ্ছে। কখনও কখনও টাকা আসার পর প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে দফতরে পাঠাতে। এর ফলে গোটা প্রক্রিয়ায় সমস্যা হচ্ছে এবং সময় মতো ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট মিলছে না। সঙ্গে শুভেন্দু আরও নালিশ জানিয়েছেন, যখন এই টাকা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে, তখন সম্পূর্ণ টাকাও দিচ্ছে না রাজ্য। তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না রাজ্যের শাসক শিবির।

তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, “নিজে ভেসে থাকার জন্য প্রতিদিন এভাবে একটি করে চিঠি লিখবেন আর সাংবাদিক বৈঠক করবেন। কেন্দ্রের তো অর্থমন্ত্রী আছেন। সেখানে আমলারা রয়েছেন। কেন্দ্রের আমলারা রাজ্যের আমলাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখেন। সুতরাং, এসব বলার কোনও অবকাশ নেই। এসব বলে যদি রাজনীতিতে ভেসে থাকা যায়।”

উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, তিনি এই বিষয়ে আরটিআই করেছেন। বলেছেন, “আমি আরটিআই করেছি। কিন্তু ওঁরা আরটিআই-এর উত্তর দেবেন না। আমি জানি। ৩০ দিন পর যা প্রসেস আছে তা করব।”  সেই বিষয়ে তাপস রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আরটিআই করে কী পেয়েছে, না পেয়েছে… আমি জানি না। তবে রাজ্য সরকারের একটি অধিকার রয়েছে। কেন্দ্রের যেমন অধিকার রয়েছে, রাজ্যেরও রয়েছে। আর টাকা কারও পৈতৃক নয়। টাকা ভারতের জনগণের, বাংলার জনগণের।”