Madan Mitra on Sougata Roy: ‘মমতার বাবার ঠিক নেই বলেছিলেন তিনি’, নাম না করে দলের সাংসদকেই আক্রমণ মদনের!
Municipal Elections 2022: বিধায়কের সাফ দাবি, কিছু নেতা এসে দলের অন্দরে ফাটল ধরাচ্ছে। তৃণমূল সুপ্রিমো ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে ঢুকে দলকে বিভ্রান্ত করছেন কিছু নেতা বলেই অভিযোগ করেন মদন।
নাম না করে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মদন বলেন, “এক নেতা ছিলেন, তিনি একসময় বলতেন ‘মমতার বাবার ঠিক নেই’। এতবার দল পাল্টেছেন ঠিক নেই! যে নেতা বলেছিলেন ‘মমতার বাবার ঠিক নেই’, সেই নেতাই আজকে বড় পদ পেয়েছেন দলে। ধুতি-লুঙ্গি পরে বটি কাবাব খাচ্ছেন আর দলে ভাঙন ধরাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করব আপনি নিজে হস্তক্ষেপ করুন। নয় বার সাংসদ হয়েছেন। যখন যেখানে সুযোগ পাচ্ছেন সেখানে চলে যাচ্ছেন। রাতে একটা দিনে আরেকটা! এসব নেতারা এভাবে থাকলে দলের ক্ষতি হচ্ছে।”
তাঁর আরও সংযোজন, “কামারহাটিতে প্রোমোটার রাজ চলছে। চেয়ারপার্সনের ঘরে গিয়ে প্রোমোটার বসে থাকছে। এক নেতা তিনি লোক পাঠাচ্ছেন। চেয়ারপার্সন কী করবে! একটা বাড়ির পাশে ব্যাঁকা বাড়ি উঠে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কী করে এরকম হল! খালি কীভাবে কোথা থেকে খাওয়া যায় সেই চিন্তা! আমি কোনওদিন বলিনি, ক্যাবিনেটে পাশ হয়ে গিয়েছে, কামারহাটি কর্পোরেশন হবে, বাইরে এসে ধুতি পরা নেতা বিবৃতি দিচ্ছেন দমদম কর্পোরেশন হবে! কেন, ওখানে মালকড়ি বেশি পাওয়া যাবে বলে? কাজুবাদাম,বটিকাবাব, বিরিয়ানি খেয়ে লুঙ্গি তুলে মালিশ করে প্রার্থীর নাম দিয়েছেন, আপনার যদি সাহস থাকে তাহলে কামারহাটি কাছে বিটি রোড দিয়ে যাতায়াত করে দেখান। কামারাহাটির মানুষ আপনাকে বুঝে নেবে।”
এখানেই থামেননি মদন। নাম না করেই দলের সাংসদের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন তিনি। পাশাপাশি এও অভিযোগ করেছেন, দলেরই সাংসদ তাঁর পছন্দমতো প্রার্থী বসাচ্ছেন। কামারহাটির ৩৫ টি ওয়ার্ডে কারা প্রার্থী হবেন তা নিয়েও বিভ্রান্তি দেখা গিয়েছে দলের অন্দরে। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিত তালিকার উপরেও কলম চালানো হচ্ছে অভিযোগ বিধায়কের। যাঁরা কামারহাটির ‘পরিচিত মুখ’, সাধারণ মানুষ চেনেন, এমন নেতৃত্বকে প্রার্থীপদ না দিয়ে ‘অচেনা-অজানাদের’ প্রার্থী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিধায়কের।
মদনের কথায়, “আপনি এখানে একটা কথা বলে যাচ্ছেন, তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে বসে সিগারেট খেতে খেতে আরেকটা কথা বলে দিচ্ছেন। একেবারে ভুল শংসাপত্র ধরিয়ে দিচ্ছেন! নেত্রীকেই বিভ্রান্ত করছেন, ভুল রিপোর্ট দিচ্ছেন! কেন করছেন এরকম? কোনও ঠিক ঠিকানা নেই আপনার! আজ এখানে কাল সেখানে! আমায় ধমকিয়ে চমকিয়ে কোনও লাভ হবে না। আমি তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছি। তৃণমূলের হয়েই থাকব। দল যা বলবে তাই করব। শুধু দেখব, নির্দেশ কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে এসেছে। ব্যস! মদন মিত্র এরকমভাবে দল পাল্টায় না!”
কিছুদিন আগেই কল্যাণ-অভিষেক তরজাকে কেন্দ্র করেও দলের অন্দরের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মদন। তারপর বলেছিলেন, তিনি ফেসবুক থেকে বিদায় নিচ্ছেন কিছুদিন। এ বার ফের সোশ্যাল মিডিয়াতে ফেসবুকে লাইভ করলেন বিধায়ক। তবে, নিজে নয়, খোলা জনসভায় কার্যত কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বক্তব্য রাখেন মদন। নাম না করে এভাবে দলের সাংসদকে নজিরবিহীনভাবে আক্রমণের জেরে ফের শাসক শিবিরের অন্দরের কোন্দল যে স্পষ্ট এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। যদিও, এই ঘটনায় সৌগতর তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা