Amartya Sen: অমর্ত্য সেনের নোবেল-বিতর্ক! কী বলছে শাসক তৃণমূল?
যেভাবে জমির দখল নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন সে প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদের তোপ, "জমির মাপজোক করা উপাচার্যের কাজ বলে আমি জানি না।"
কলকাতা: নোবেল-বিতর্কে অমর্ত্য সেনের পাশে রাজ্যের শাসকদল, তৃণমূল কংগ্রেস। গাত্রদাহ থেকেই অমর্ত্য সেনের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রশ্ন তুলেছেন বলে তোপ দেগেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। আবার আরও একধাপ এগিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মানসিক স্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যিনি অমর্ত্য সেনের নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ফিরহাদ। শুক্রবার কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ওনাকে (বিদ্যুৎ চক্রবর্তী) বিশ্বভারতী থেকে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ভারতবাসীকে অপমান করা হচ্ছে। ওনার সার্টিফিকেটগুলো পরীক্ষা করা উচিত। উনি মানসিকভাবে ঠিক নেই।”
ফিরহাদের সুরেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের কটাক্ষ, “লোক ধরে উপাচার্য হওয়া যায়। কিন্তু, অমর্ত্য সেন যে পুরস্কার পেয়েছেন, তার আধখানা পুরস্কারও পাওয়ার যোগ্যতা তাঁর নেই।” একইসঙ্গে যেভাবে জমির দখল নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন সে প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদের তোপ, “জমির মাপজোক করা উপাচার্যের কাজ বলে আমি জানি না।”
কেবল বাংলায় সবচেয়ে বেশি নোবেল পুরস্কার আসছে, তার জন্য হিংসার বশবর্তী হয়েই বিশ্বভারতীর উপাচার্য অমর্ত্য সেনের নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বলে দাবি সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের। এপ্রসঙ্গে ‘বাঙালি কাঁকড়া মতো’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। অমর্ত্য সেনের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কেবল সত্যের অপলাপ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা নয়, প্রবাদপ্রতিম বিজ্ঞজনকে অপমান করছেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর কথায়, “যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের যোগ্যতা আছে কি? তাঁর (অমর্ত্য সেন) সমালোচনা করার যোগ্যতা নেই।”
তবে বিশ্বভারতীর উপাচার্য কেন এভাবে অমর্ত্য সেনের নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, কেন তাঁর সমালোচনা করছেন, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ সুখেন্দু শেখর।
প্রসঙ্গত, অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রয়েছেন বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ তুলেছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সম্প্রতি অমর্ত্য সেন বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন এবং তিনি শান্তিনিকেতনের বাড়িতে যেতেই এই বিষয়ে ফের একটি চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই দাবি সঠিক নয় বলে কড়া প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন অমর্ত্য সেন। এই বিতর্কের মাঝেই বৃহস্পতিবার অমর্ত্য সেনের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “অমর্ত্য সেন নোবেল পুরস্কার পাননি।” উপাচার্যের এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল শুরু হয়েছে।