Saradha Scam: ‘সুদীপ্তর সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করুক’, সারদা-কাণ্ডে শুভেন্দুকে গ্রেফতারির দাবিতে ফের সরব কুণাল

Saradha Scam: “সিবিআইয়ের অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা উচিৎ। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা উচিৎ।” প্রতিক্রিয়া কুণালের।

Saradha Scam: ‘সুদীপ্তর সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করুক’, সারদা-কাণ্ডে শুভেন্দুকে গ্রেফতারির দাবিতে ফের সরব কুণাল
শুভেন্দুকে গ্রেফতারির দাবিতে সরব কুণাল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2022 | 6:32 PM

কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দিয়েছিলেন ৯০ লক্ষ টাকা। কাঁথি পুরসভার একটি নির্মানের জন্য ড্রাফটে ৫০ লক্ষ ও বাকি টাকা নগদে দিয়েছিলেন সারদা কর্তা। বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকার সুদীপ্ত সেনের চাঞ্চল্যকর দাবির পরেই ফের খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীরও। যা নিয়ে রাজনৈতি মহলে চলছে জোরদার চাপানউতর। এবার এ ইস্যুতেই ফের একবার শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফাতারির দাবি তুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন কুণাল বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী ধাপে ধাপে কত টাকা নিয়েছেন তা তো সুদীপ্ত সেন বলছেন। তাই সিবিআইয়ের অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা উচিৎ। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা উচিৎ। কোর্টে সুদীপ্ত সেন যে বয়ান দিয়েছেন, তাতে তিনি বলছেন ৫০ লক্ষ টাকা ড্রাফটের মাধ্যমে কাঁথি পুরসভা দিতে হয়েছে। বাকি নগদে। যাঁরা বলছেন এসব সবই মিথ্যা অভিযোগ। সেখানে আমার বলার ব্যাঙ্ক ড্রাফট তো আর মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে না। ব্যাঙ্ক ড্রাফট কী করে কাল্পনিক হবে। এটা তো তদন্তের মধ্যে পড়বে।”

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সুদীপ্ত সেন বলেন, “এর আগে যে চিঠি দিয়েছিলাম তাতে কিন্তু অনেকের নাম দিয়েছি। মুকুল রায়ের নাম দিয়েছি, অধীর চৌধুরীর নাম দিয়েছি। দ্বিতীয় চিঠিটায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম দিয়েছি। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ উনি আমাদের অনেক রকমভাবে ম্যানুপুলেশন করেছিলেন। উনি কাঁথিতে আমাদের একটা হাইরাইজার বিল্ডিং (আকাশচুম্বী ভবন) করার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা কাঁথি পুরসভাকে ডিপোজিট করলেন। আমাদের ওই বিল্ডিংয়ের কাজকর্ম করালেন। আমরা লেবার হাট সম্পূর্ণ করলাম। ৯০ লক্ষ টাকা দিয়ে লেবার হাট সম্পূর্ণ করি। তারপর উনি আমাদের প্ল্যান দেননি। আগেও উনি টাকা নিয়েছিলেন। উনি কাঁথি পুরসভাতে একটা বিল্ডিং করে দিয়েছিলেন আমাদের। এই ঘটনায় ওনার ভাই সৌমেন্দু অধিকারী পুরোপুরি জড়িত ছিল। আমি বিস্তারিত দিয়েছি। সিবিআইকে সব জানিয়েছি।”