CPIM-BJP : ‘নিজে দাঁড়িয়ে মনোনয়ন করাব’, বাম-বিজেপির প্রার্থীদের জন্য মোবাইল নম্বর দিলেন অভিষেক
CPIM-BJP : “প্রতিটা পঞ্চায়েতে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক অবাধ নির্বাচন হবে, মানুষ ভোট দেবে। আমি নিজে দাঁড়িয়ে মনোননয়ন করাব।” কেশপুরের মঞ্চ থেকে বললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
কেশপুর : “কোনও দাদার তল্পিবাহক হয়ে টিকিট পাওয়া যাবে না। আগামী পাঁচ বছর যাঁরা মাথানত করে মানুষের জন্য কাজ করবে তাঁরাই পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়াবে। প্রার্থী ঠিক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (Mamata Banerjee)” শনিবার কেশপুরের সভা থেকে এ কথা বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee)। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) শাসকদলের বিরুদ্ধে বেনজির সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, শাসকদলে নেতাদের ভয়েই রাজ্যের নানা প্রান্তে মনোননয়নই জমা দিতে পারেননি তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রার্থীরা। এবারে পঞ্চায়েত ভোটের রণডঙ্কা বাজতেই ফের সেই আশঙ্কা করতে শুরু করেছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। যদিও অভিষেকের দাবি, প্রতিটা পঞ্চায়েতে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক অবাধ নির্বাচন হবে। মনোনয়নও দিতে পারবে বিরোধীরা। নিজেই সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন কামান্ড।
এদিন কেশপুরের সভা থেকে অভিষেক বললেন, “প্রতিটা পঞ্চায়েতে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক অবাধ নির্বাচন হবে, মানুষ ভোট দেবে। আমি নিজে দাঁড়িয়ে মনোননয়ন করাব।” এরপরই একযোগে তোপ দাগেন বাম-বিজেপির উদ্দেশে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নন্দকুমার থেকে মহিষাদল, পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক সমবায় সমিতির নির্বাচনে ‘রাম-বাম’ জোটের কথা সামনে এসেছিল। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে দেখা গিয়েছিল দুই দলেরই তৃণমূল স্তরের কর্মীদের। যদিও উপরমহলের দাবি, খাতায় কলমে নাকি কোনও জোটই হয়নি। এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে বাংলার রাজনীতির মাটি ফের উত্তপ্ত হতে শুরু করলে সেই রাম-বাম জোট নিয়ে তৈরি হয়েছে চাপানউতর। এ প্রসঙ্গে অভিষেকের কটাক্ষ, “সিপিএম-বিজেপিকে বলব দলাদলি না করে একা লড়ুন। সমবায়ে দেখেছেন রাম-বাম মডেল। তাও তৃণমূলকে হারাতে পারেনি।”
এরপরেই বিরোধী শিবিরের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে অভিষেকের বক্রোক্তি, “সিপিএমের হার্মাদ, বিজেপির জল্লাদ আর কংগ্রেসের উন্মাদদের আমি বলছি যদি পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন না দিতে পারেন সরাসরি আমাকে জানাবেন আমি মনোনয়ন জমা করিয়ে যাব। মনোনয়ন করানোর দায়িত্ব আমার।” অভিষেক আরও বলেন, “প্রয়োজনে আমি নম্বর দিয়ে যাচ্ছি। ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ এই নম্বর। সিপিএমের, বিজেপি, কংগ্রেস, আর নির্দল বন্ধুদের বলছি এই নম্বরে ফোন করে সরাসরি আমাকে জানান। আমি নিজে দাঁড়িয়ে মনোনয়ন করাব।” অভিষেকের এ কথা নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।