Kunal Ghosh vs Biplab Deb : ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃণমূলই, বিপ্লব বিদায়ে ‘আশাবাদী’ কুণাল
Kunal Ghosh vs Biplab Deb : ‘যারা নিজেদের ঝামেলা মেটাতে পারে না তারা সরকার কী চালাবে’! বিপ্লব দেবের পদত্যাগের পর এই ভাষাতেই বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে।
কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা ভোটের ঠিক এক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিপ্লব দেব। শনিবারই রাজ্যপালের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। বিপ্লবের ইস্তফা দেওয়া ইস্তক জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। জানা গিয়েছে, আজই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠিক হয়ে যেতে পারে। কিন্তু বিপ্লবের ইস্তফা নিয়ে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তৃতীয়বার বাংলা জয়ের পর ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে মাটি শক্ত করতে গত বছর থেকেই কোমর বেঁধে নেমেছে ঘাসফুল শিবির।
এই প্রেক্ষাপটে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর আচমকা ইস্তফা নিয়ে কুণালের মন্তব্য, “যে কিছুই করতে পারে না সে আম-আদমিকে কী বলবে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপরায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তৈরি করবে। তিন মাসের চেষ্টায় আমরা সেখানে ২০ থেকে ২৬ শতাংশ ভোট নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছি। তাই, এই বিজেপি আর চলবে না। ২০২৩ সালে গোটা রাজ্য থেকেই বিদায় নেমে বিপ্লবের দল। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করেই শেষ হবে পদ্ম শিবির। এটা এখন সাধারণ মানুষও বুঝে গিয়েছে। আদি বিজেপি, তৎকাল বিজেপি আর পরিযায়ী বিজেপির যে অভ্যন্তরীণ গন্ডগোল তা আবার নতুন করে সামনে এসে গেল। যারা নিজেদের গন্ডগোল সামলাতে পারে না, তারা সরকার কীভাবে চালাবে।”। এদিকে বিপ্লব বিদায়ে কী বিশেষ সুবিধা হল তৃণমূলের? রাজনৈতিক লড়াইয়ের রাস্তা কী আরও মসৃণ হল?
প্রশ্নের উত্তরে কুণালের জবাব, বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ লড়াইয়ের জন্য তৃণমূল প্রস্তুত রয়েছে। ত্রিপুরার যে বিজেপি বিরোধী মানুষেরা রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই তৃণমূলের দিকে ঝুঁকছেন। এমনকী যাঁরা ভুল করে আগেরবার বিজেপিকে ভোট দিয়ে ফেলেছেন তারাও তৃণমূলের কথা ভাবছেন। বিল্পবের মত, দলের ভালর জন্যই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আসন ছেড়েছেন। ভোট আসছে, তাই দলে দরকার ভাল সংগঠক। সেই কাজেই আপাতত তিনি মনোযোগ করতে চান।