Dilip Ghosh: ‘আমরা চাই আপনি বাংলাতে থাকুন’! ৮ রাজ্যের ‘গুরু’ দায়িত্ব পেতেই দিলীপ প্রসঙ্গে ‘সুর নরম’ কুণালের

Dilip Ghosh: গোসাবায় দিলীপের যাওয়া প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “উনি কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি। সেই হিসাবে উনি কি শুধুই এই রাজ্যে আটকে থাকবেন?”

Dilip Ghosh: ‘আমরা চাই আপনি বাংলাতে থাকুন’! ৮ রাজ্যের ‘গুরু’ দায়িত্ব পেতেই দিলীপ প্রসঙ্গে ‘সুর নরম’ কুণালের
ছবি - দিলীপে 'নরম' কুণাল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2022 | 11:57 PM

কলকাতা: তিনি রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন থাকাকালীন বঙ্গে বিজেপির (BJP)উত্থান। একুশের নির্বাচনে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছিল গেরুয়া শিবির। আসন বাড়লেও স্বপ্ন পূরণ হয়নি। নির্বাচন শেষেই রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব থেকে পদন্নোতি ঘটিয়ে দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) করা হয় সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি। এবার সেই দিলীপের কাঁধেই আট রাজ্যের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির বড় দায়িত্ব। গোটা দেশের মধ্যে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মণিপুর, মেঘালয়, অসম, ত্রিপুরা, আন্দামানে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল বলে বেশকিছু বুথকে চিহ্নিত করেছে বিজেপি। ওইসব বুথের হাল ফেরাতে বিশেষ কমিটিও তৈরি হয়েছে। সেই কমিটিতেই গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিলীপকে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে এই সিদ্ধান্ত জানানোর পরেই তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা তৈরি হয়েছে রাজ্য-রাজনীতির অন্দরে। বাংলায় দলকে ‘বাঁচাতে’ না পারার জন্যই কী দিলীপকে ‘অব্যাহতি’ দিল দল? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে নানা মহলে। 

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আমাদের নীতিগত মতপার্থক্য ছিল, আছে, থাকবে। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু, যেভাবে কিছু তৎকাল দলবদলু বিজেপি, কিছু দিল্লির পরিযায়ী বিজেপির সাহায্যে দিলীপ বাবুকে বাংলা থেকে সরিয়ে দিচ্ছিল আমরা তো বলেছিলাম, আপনি শুনবেন না ওদের কথা। আপনি প্রতিবাদ করুন। আপনি বাংলাতে থাকুন। আমাদের বিরোধিতা করুন, আমরাও আপনার বিরোধিতা করব। কিন্তু আপনাকে যেন ধাক্কা দিয়ে বাংলা থেকে বার করতে না পারে তা দেখতে হবে! এখন উনি যখন বাংলাতে ঘুরছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে উনি ওই সমস্ত দলবদলু, ধান্দাবাজদের কড়া বার্তা দিতে চাইছেন। এটা খুব ভালো কথা। এখন দেখব, তাঁদের কত ক্ষমতা। ক্ষমতা থাকলে বিজেপির ট্রেনি সভাপতি বের করে দেখাক দিলীপ ঘোষকে। মতপার্থক্য থাকুক, কিন্তু আমরা তো চাই দিলীপ ঘোষ বাংলায় থাকুন”। এদিকে দিলীপ প্রসঙ্গে কুণালের এই ‘নরম’ অবস্থানে দানা বাঁধছে নানা জল্পনা।

এদিকে শুক্রবার আচমকাই সুন্দরবনের নদী বাঁধের অবস্থা পরিদর্শনে গোসাবা ব্লক এলাকায় যান দিলীপ। স্থানীয় বালির বিদ্যামন্দির জেটি ঘাটে নেমে এলাকার বাঁধ ঘুরে দেখেনl তবে তাঁর এই সফরসূচিতে ছিলেন না দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। এদিকে বাইরের রাজ্যে দায়িত্ব পাওয়ার পরে বাংলায় দিলীপের অবাধ বিচরণ নিয়ে ‘চাপান-উতর’ তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “উনি কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি। সেই হিসাবে উনি কি শুধুই এই রাজ্যে আটকে থাকবেন? তাহলে সহ-সভাপতি করা হল কেন? সব সহ-সভাপতি দেশের সব প্রান্তে কাজ করবেন, এটাই তো স্বাভাবিক”।