Kunal Ghosh: ‘আমি বোরোলিন নিয়ে চলি!’ পার্থ ইস্যুতে ‘সেন্সরের’ পরেই ফের বিস্ফোরক কুণাল
Kunal Ghosh: দলীয় সূত্রে খবর, বর্তমানে ১৪ দিনের জন্য তাঁকে সেন্সর করা হয়েছে। বর্তমানে তা নিয়েই জোরদার চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারির পর থেকেই অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য সরকারের। এদিকে আদালতের নির্দেশে বর্তমানে জেলে দিন কাটছে পার্থর। তবে পার্থর জেল হেফাজতের নির্দেশ আসার পরই তোপ দাগতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে (Trinamool spokesperson Kunal Ghosh)। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই কুণালকে বলতে শোনা যায়, “পার্থবাবু আমার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করেছেন। আমাকে পাগল বলেছিলেন। আমার যন্ত্রণাবিদ্ধ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যেন ওনাকে কোনও বাড়তি সুবিধা না দেওয়া হয়।” যা নিয়ে তীব্র চাপানউতর শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এদিকে শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে একাধিক প্রশ্ন করা হলে একটাও কথা বলতে চাননি কুণাল। তিনি সাফ বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে আমি একটি শব্দও বলব না।” সূত্রের খবর, বর্তমানে পার্থ ইস্যুতে কথা বলার জন্য কুণাল ঘোষকে ১৪ দিনের জন্য সেন্সর করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও দলের তরফে এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
যদিও দলীয় সূত্রে খবর, বর্তমানে ১৪ দিনের জন্য তাঁকে সেন্সর করা হয়েছে। কোনও কোনও মহলের দাবি, ১৪ দিনের জন্য তাঁকে মুখপত্র পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও রবিবার নিজের নিজের সুখিয়া স্ট্রিটের বাড়িতে দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় কুণালকে। সেখানে সাংবাদিকরা তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি তাঁর জবাব দেন। তবে সেন্সর নিয়ে বলতে গিয়ে পাল্টা কুণাল ঘোষ বোরোলিন হাতে নিয়ে বলেন, “আমি বোরোলিন নিয়ে চলি যাতে জীবনের ওঠাপড়া যেন সহজে গায়ে না লাগে। আমি কঠিন দিনের সৈনিক, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু আমার সেনাপতি নন, তাঁকে আমি ভালবাসি।”
শনিবারই সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল বলেন, “দলের মুখপাত্র হিসাবে নয়, দলের সদস্য হিসাবে নয়, একদম ব্যক্তিগতভাবে আমি মন্তব্য করেছিলাম ঠিকই। তবে আজ আমি একটি শব্দও পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে বলব না। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে আজ আমার কোনও বক্তব্য নেই।” এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে কুণালের আগে করা পার্থকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে কী দলের প্রবীণ অংশের মনক্ষুণ্ণ হয়েছে? সে কারণেই কী দল কুণালের ঘোষের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করেছে? এদিকে গোটা ঘটনা দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের মত, দল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করলেও পার্থ ছায়া যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের। সহজ কথায় আপাতত দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক না থাকলেও, দল থেকে তাঁকে মুছে ফেলা যায়নি। দলে যে এখনও তাঁর শুভাকাঙ্খী, অনুগামী, সতীর্থরা রয়েছেন তা স্পষ্ট। তাঁদের ভাবাবেগে আঘাতের কারণেই কী কুণালের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা? উঠছে প্রশ্ন।