কলকাতা: তপ্ত ভাঙড়ে এখনও উড়ছে সবুজ আবির। ভাঙড়-১ ব্লকের পুরো দখল চলে গিয়েছে শাসকদলের হাতে। ভাঙড়-২ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতে কিছু আসন আইএসএফ (ISF) ও জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির হাতে গেলেও অনেরটারই দখল নিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। পঞ্চায়েত সমিতিতে ২ হাজার ৪৪৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসালাম। তবে ভাঙড়ের পোলেরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে ঘাসপুল শিবিরের। এখানেই আবার আরাবুল ইসলামের বুথ। সমিতিতে জিতলেও নিজের পাড়ায় হারায় খানিকটা অস্বস্তিতে আরাবুল। এবার সেই আরাবুলের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল তৃৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকি আরাবুল গড়ে তৃণমূলের পরাজয়কে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ তিনি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, “আরাবুল তো হেরে গিয়েছে। কিন্তু আরাবুলের সিট হারা নয়। কিন্তু তাও শান্তির জন্য আমি কিছু বলিনি। কারণ, একটা-দুটো সিট আমার কাছে কোনও ব্যাপার নয়।” প্রসঙ্গত, পোলেরহাট ২-এ পঞ্চায়েতে মোট আসন ২৪টি। এর মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১১ টি আসনে জিতেছেন জমি কমিটি ও ISF প্রার্থীরা। তবে পোলারহাট ১-এ তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভোট ঘোষণার পর থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে। গিয়েছে একাধিক প্রাণ। ফল প্রকাশের পরেও বুধবার মাঝরাতে ব্যাপক হিংসার ছবি দেখা যায় ভাঙড়ের কাঁঠালবেড়িয়াতে। গুলি লাগে এক পুলিশ কর্তার। প্রাণ গিয়েছে দুই আইএসএফ কর্মীর। প্রাণ গিয়েছে এক গ্রামবাসীরও। তা নিয়েও এদিন কথা বলেন মমতা। বিরোধীদের ভূমিকা নিয়েও সরব হন। বলেন, ভাঙড়ে কাল রাতে গণ্ডগোল হল কেন? কেন্দ্রীয় বাহিনী তো ছিল। কেন অ্যাডিশনাল পুলিশ সুপারকে গুলি মারা হল? তৃণমূল জিতে গিয়েছিল। ওরা (পড়ুন বিরোধীরা) হঠাৎ রাতে বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসেছিল। মমতার দাবি, একটা স্কুলের মধ্যে বোমা মজুত করা ছিল। সেখান থেকেই উত্তেজনার সূত্রপাত। এদিন মমতা এও বলেন, “তৃণমূলের কেউ অন্যায় করলে, তাঁকেও গ্রেফতার করলে আমি খুশি হতাম।”