Arpita Mukherjee: ‘প্রেস কনফারেন্স করে সব বলব’, বললেন অর্পিতার সংস্থার CA

Arpita Mukherjee: অর্পিতার নামে থাকা একাধিক সংস্থার ব্যালান্স শিটে ওই সংস্থা ও সিএ-র নাম রয়েছে। আপাতত কলকাতায় নেই তিনি।

Arpita Mukherjee: 'প্রেস কনফারেন্স করে সব বলব', বললেন অর্পিতার সংস্থার CA
কে দেরাসারির সংস্থাই রাখত সব হিসেব
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 4:44 PM

কলকাতা: পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে শুধু সম্পত্তিই নয়, একাধিক সংস্থারও হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেই সব সংস্থার নথিতে সিএ বা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে যাঁর নাম পাওয়া গিয়েছে, কোথায় সেই কিষাণ দেরাসারি? তাঁর অফিসে গিয়ে TV9 বাংলা দেখল, কর্মীরা কাজ করলেও সংস্থার কর্তা অর্থাৎ দেরাসারি সেখানে নেই। অফিসে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে বাধা দেওয়া হয় সংবাদমাধ্য়মকে। ফোনেই কর্মীদের নির্দেশ দিতে থাকেন দেরাসারি। শুধু তাই নয়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি সাফ জবাব দেন, ‘যা বলার ইডি-কে বলব, বা সাংবাদিক বৈঠক করে বলব।’

ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের চারটি সংস্থার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাজ করতেন এই কিষাণ দেরাসারি। যে সংস্থায় ডিরেক্টর হিসেবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও কল্যাণ ধরের নাম রয়েছে, সেই সংস্থার নথিতেও দেরাসারির স্বাক্ষর স্পষ্ট। তাঁর সঙ্গে কথা বলতেই সেই অফিসে পৌঁছে গিয়েছিল TV9 বাংলা। একদিকে যখন ইডি হেফাজতে অর্পিতার জেরা চলছে, তখন কলকাতায় নেই সেই কিষাণ দেরাসারি।

TV9 বাংলা ওই অফিসে পৌঁছনোর পর এক কর্মীর ফোনে ফোন আসে দেরাসারির। ফোনেই তিনি কর্মীদের মাধ্যমে নির্দেশ দেন যাতে অফিসের মধ্যে কোনও ছবি না তোলা হয়। সেই কর্মীর ফোনের মাধ্যমেই দেরাসাররির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে TV9 বাংলা। ফোনে তাঁর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে দেরাসারি বলেন, ‘ফোনে কোনও মন্তব্য করব না। যা বলার ইডি-কে বলব, বা সাংবাদিক বৈঠক করে বলব।’ বেআইনি কাজের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম অফিস ছাড়ার পরই দেখা যায়, এক মহিলা কর্মী বাইরে বেরিয়ে এসে অফিসে গায়ে লাগানো কিছু কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দেয়। ওই সব কাগজে সংস্থার নাম ছিল।

ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সংস্থা ‘ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট’-সহ মোট ৪ টি সংস্থার হসেব নিকেশের কাজ করত এই দেরাসারির সংস্থা। তাঁর অফিসের ঠিকানা ৬৪ হেমন্ত বসু সরণি। ইডি-র দাবি, সংস্থার হিসেব রাখা, ট্যাক্স জমা দেওয়া থেকে শুরু করে আর্থিক সব বিষয় সামলাত এই সংস্থা। এই সংস্থার নামও রয়েছে ব্যালান্স শিটে।

অফিসে সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কিষাণ দেরাসারি নামে এই সংস্থার মালিক আপাতত কলকাতার বাইরে রয়েছেন। কোথায় রয়েছেন তা সংস্থার কোনও কর্মী জানেন না। কবে আসবেন তাও জানানো হয়নি তাঁদের। কর্মীদের বক্তব্য, অর্পিতা সংক্রান্ত বিষয় মালিক ছাড়া আর কারও জানা নেই।