Private B.Ed. Colleges: ‘যদি মহিলা হন, তাহলে তো কোনও ব্যাপারই না…’, চরিত্র হননের চেষ্টার অভিযোগ উপাচার্যের

Soma Banerjee: উপাচার্য বলছেন, "আমি তিনটি জায়গার বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে ছিলাম এবং আমি বর্তমানে ডায়মন্ড হারবারে যেখানে দায়িত্বে রয়েছি, সেটাও নাকি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর অনুগ্রহ। এটা খুব হাস্যকর ব্যাপার।"

Private B.Ed. Colleges: 'যদি মহিলা হন, তাহলে তো কোনও ব্যাপারই না...', চরিত্র হননের চেষ্টার অভিযোগ উপাচার্যের
সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 03, 2022 | 8:29 PM

কলকাতা: বেসরকারি বিএড কলেজগুলির (Private B.Ed. Colleges) পুনর্নবীকরণের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। মামলায় নাম জড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেও কানাঘুষো ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন নিজেই। এমন গুঞ্জনে তীব্র আপত্তি উপাচার্যের। বলছেন, “আমি তিনটি জায়গার বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে ছিলাম এবং আমি বর্তমানে ডায়মন্ড হারবারে যেখানে দায়িত্বে রয়েছি, সেটাও নাকি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর অনুগ্রহ। এটা খুব হাস্যকর ব্যাপার। এই দায়িত্ব আমাকে যখন দেওয়া হয়েছিল, সেটি ছিল চলতি বছরের জানুয়ারি মাস। তাও সেখানকার যিনি উপাচার্য ছিলেন, তিনি কোনও কারণে পদত্যাগ করেছিলেন, তারপর আমাকে দেওয়া হয়েছিল দায়িত্ব।”

উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থবাবুর সঙ্গে তাঁর যাবতীয় যা যোগাযোগ ছিল, সেই সবই পেশাগত তাগিদে। তাঁর কথায়, “বিভিন্ন জায়গায় বলা হচ্ছে, আমি নাকি অনেক জায়গায় দায়িত্বে রয়েছি এবং সেগুলি সবই ওনার অনুগ্রহে। আমি নাকি ওনার ঘনিষ্ঠ। এটা খুব অদ্ভুত ব্যাপার। যখন যে সময়ে যিনিই মন্ত্রী থাকবেন, যে দফতরই হোক না কেন… তাঁর অধীনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে একটি পেশাগত যোগাযোগ থাকে। তার বাইরে কিছু থাকে বলে আমি জানি না।”

যাঁরা এই ধরনের সমালোচনা ও কানাঘুষো ছড়াচ্ছেন তাঁদের উদ্দেশেও কড়া বার্তা দেন তিনি। বললেন, যেহেতু এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, প্রাক্তন মন্ত্রী কোনওভাবে একটি ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন… তাই যদি কাউকে টার্গেট করতে হয়, তাঁর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়। আর যদি তিনি মহিলা হন, তাহলে তো কোনও ব্যাপারই নয়।” সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একজন উপাচার্য হয়েও এসব থেকে পার পাচ্ছেন না, তাহলে যাঁরা সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসছেন, তাঁদের যে কত কী সহ্য করতে হয়, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন তিনি। তাঁর কথায়, একজনের মনোবল ভেঙে দেওয়া, জনমানসে তাঁর বিরুদ্ধে একটি ধারণা তৈরির একটি ভাল উপায় হল, সংশ্লিষ্ট সেই মানুষটিকে বদনাম করা।