BJP: কলকাতায় ঘুরে যাওয়া দল আজই নাড্ডা-সাক্ষাতে, নবান্ন অভিযানে ‘হিংসা’ নিয়ে জমা পড়বে রিপোর্ট

Nabanna: গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান ছিল। সেই কর্মসূচিকে ঘিরে কলকাতা, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জেলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।

BJP: কলকাতায় ঘুরে যাওয়া দল আজই নাড্ডা-সাক্ষাতে, নবান্ন অভিযানে 'হিংসা' নিয়ে জমা পড়বে রিপোর্ট
১৭ সেপ্টেম্বর মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়িতে বিজেপির সদস্যরা। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2022 | 1:16 PM

কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে যে হিংসার অভিযোগ উঠেছিল, তার শিকড় খুঁজতে বিজেপি পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরি করে। শনিবার এই কমিটি রিপোর্ট দেবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ জেপি নাড্ডার বাসভবনে যাওয়ার কথা পাঁচ প্রতিনিধির ওই দলের। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান ছিল। সেই কর্মসূচিকে ঘিরে কলকাতা, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জেলায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।

বিজেপির অভিযোগ ছিল, পুলিশের বিরুদ্ধে বোমা মারার। পাল্টা পুলিশকে মারধরেরও অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। এক পুলিশ আধিকারিক আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। একটি পুলিশ ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাও সামনে আসে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কলকাতা। এ রাজ্যের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তোলে। পাল্টা বিজেপি দাবি করে, শাসকদল ও পুলিশ মিলে তাদের কর্মসূচি বানচালের জন্য সবরকম চেষ্টা করেছে। এই নবান্ন অভিযানের পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সে কারণেই তৈরি করা হয় পাঁচ কমিটির সদস্য।

বিজেপি গত ১৫ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে লেখা হয়, ‘ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের পশ্চিমবঙ্গে নৃশংসভাবে মারধর করা হয়েছে। এই ধরনের নৃশংস ঘটনা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে বিজেপি। এই ঘটনার তীব্র ভর্ৎসনাও করছে। একইসঙ্গে সরকারের কাছে বিজেপি দাবি রাখছে, অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি দিয়ে আইনের প্রতিষ্ঠা করুক। এই ঘটনায় জেপি নাড্ডা পাঁচ সদস্যর একটি কমিটি গঠন করেছেন।’ পাঁচ সদস্যর কমিটিতে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ব্রজলাল (উত্তর প্রদেশ), লোকসভার সাংসদ কর্নেল রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর, লোকসভার সাংসদ অপরাজিতা সারেঙ্গি, রাজ্যসভার সাংসদ সমীর ওরাও, পঞ্জাবের সুনীল জাখার। তাঁরা ১৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় আসেন।

তাঁরা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে আহত বিজেপি কর্মী ভর্তি ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি যান কলকাতার কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়িতেও। অভিযোগ, নবান্ন অভিযানের দিন তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। পাঁচটি সেলাই পড়ে। বিজেপি নেতা, কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই কেন্দ্রের ওই দলের তরফে জানানো হয়, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যাবে না? গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করা যাবে না? পুলিশ মহিলাদের উপর বাহাদুরি দেখাচ্ছে। এই জুলুমবাজি চলবে না। আগামী ভোটে তৃণমূলকে শিক্ষা দিয়ে দেবে এখানকার মানুষ।”