Biman Banerjee: কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে বলে মনে করি না: বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়
Biman Banerjee: বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, "বহুদলীয় ব্যবস্থার মধ্যে কংগ্রেসের মতো জাতীয়তাবাদী দল, একশো বছরের পুরনো দল... সেই দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে না... বা সিপিএম, যে দল ৩৪ বছর রাজত্ব করে গিয়েছে, তাঁদের কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে না, এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক।"
কলকাতা: কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক বেশ নরমে গরমে। রাজ্য রাজনীতিতে কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ে না। কংগ্রেস আক্রমণ শানাচ্ছে তৃণমূলকে, আবার শাসক পক্ষও পাল্টা দিতে ছাড়ে না কংগ্রেসকে (Congress)। বিধানসভা বাম-কংগ্রেসহীন হয়ে যাওয়া নিয়ে মাঝে মধ্য়েই তৃণমূল নেতারা খোঁচা দিয়ে থাকেন। তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলাতেও সাম্প্রতিকে অতীতে কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে। আবার জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সনিয়া গান্ধীর সম্পর্ক বেশ ভাল। এবার কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে মুখ খুললেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। বললেন, “আমরা তো চাই। বহুদলীয় ব্যবস্থার মধ্যে কংগ্রেসের মতো জাতীয়তাবাদী দল, একশো বছরের পুরনো দল… সেই দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে না… বা সিপিএম, যে দল ৩৪ বছর রাজত্ব করে গিয়েছে, তাঁদের কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে না, এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক।”
সঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ আরও বলেন, “আমি মনে করি সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে গেলে তা খুব দুর্ভাগ্যজনক হবে। পরিষদীয় গণতন্ত্রের কংগ্রেসের মতো একটি শক্তিশালী দলের থাকা নিশ্চয়ই উচিত বলে আমি বিশ্বাস করি। কে কোন দলের হাত ধরবে, এটি তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। রাহুল গান্ধী এক কথা বলছেন, আবার তিনি যাঁদের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছেন, সাভারকরকে নিয়ে তাঁদের অন্য মত। তবে কংগ্রেসের মতো দলের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে গিয়েছে বলে আমি মনে করি না। তবে কিছুটা তো ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে এটা ঠিক।” শনিবার ইন্দিরা গান্ধীর ১০৫ তম জন্ম বার্ষিকীতে বিধানসভায় মাল্যদান করতে এসেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়েই এই মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাম-কংগ্রেস শূন্য বিধানসভা নিয়ে এর আগেও একাধিকবার মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, “রাজনৈতিকভাবে ওদের সঙ্গে আমার সংঘাত থাকতেই পারে। কিন্তু আমি কাউকে শূন্য হিসেবে দেখতে চাই না।” সঙ্গে অবশ্য তিনি এও বলেছিলেন, “ওরা এত বিজেপির তোষামোদ করেছে, যে নিজেরাই সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে।”