Bratya Basu: রমরমিয়ে বেড়েছে সম্পত্তি? মামলায় ইডিকে পার্টি করার বিষয়ে মুখ খুললেন ব্রাত্য

Bratya Basu: ২০১৭ সালে দায়ের হওয়া এই মামলায় মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের সম্পত্তি পাঁচ বছরে বিপুল পরিমাণে বেড়েছে।

Bratya Basu: রমরমিয়ে বেড়েছে সম্পত্তি? মামলায় ইডিকে পার্টি করার বিষয়ে মুখ খুললেন ব্রাত্য
সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রাত্য বসু। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2022 | 8:21 PM

কলকাতা: এক জনস্বার্থ মামলায় সোমবারই ইডিকে ‘পার্টি’ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। ২০১৭ সালে দায়ের হওয়া এই মামলায় মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের সম্পত্তি পাঁচ বছরে বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। মূলত ১৯ জন নেতা মন্ত্রীর নাম রয়েছে মামলায়। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও আছেন সেই তালিকায়। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে নিঃসন্দেহে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই মামলা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির বিস্তারিত দেওয়া আছে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, কোথাও কোনও অস্বাভাবিকতা থাকলে তিনি রাজনীতিই ছেড়ে দেবেন।

এদিন এসএসসির চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক ছিল শিক্ষামন্ত্রীর। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, “আদালতের নির্দেশ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমি তিনবার ভোটে লড়েছি। তিন তিনবার হলফনামা দিয়েছি। আমার হলফনামা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। আপনারা হলফনামা দেখুন কোথাও কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কি না। যদি কোথাও কোনও অস্বাভাবিকতা থাকে, আমি বলতে পারি, আমি রাজনীতিতে থাকব না। আদালতের পর্যবেক্ষণ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।”

ব্রাত্য বসু ছাড়াও এই তালিকায় নাম রয়েছে ফিরহাদ হাকিম, অর্জুন সিং, শোভন চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, স্বর্ণকমল সাহা, অরূপ রায়, জাভেদ খান, অমিত মিত্র, আব্দুর রজ্জাক মোল্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, শিউলি সাহা, সব্যসাচী দত্তের। এছাড়াও প্রয়াত নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও প্রয়াত নেতা সাধন পাণ্ডেরও নাম রয়েছে তালিকায়।

২০১৭ সালে আয়ের অতিরিক্ত সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাটি করেছিলেন বিপ্লব চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। মামলায় নাম রয়েছে ১৯ জন নেতা মন্ত্রীর। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ওই নেতা মন্ত্রীর সম্পত্তি বহু গুন বেড়েছে। কোনও কোনও নেতা মন্ত্রীর সম্পত্তি বাড়ার পরিমাণ ১ হাজার গুনও বলে অভিযোগ। পাঁচ বছর পর এই মামলার শুনানি হয় সোমবার। সেখানেই নির্দেশ দেওয়া হয় এ মামলায় ইডিকে পার্টি করার।