Anubrata Mondal: অনুব্রতকে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদেই কি নয়া মোড়? ফের সিবিআই তলব ‘কেষ্ট’কে, আনতে বলা হল গুরুত্বপূর্ণ নথি…
Cattle Smuggling: বৃহস্পতিবার প্রায় চার ঘণ্টা সিবিআই দফতরে ছিলেন অনুব্রত। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে একটিও কথা বলেননি তিনি।
কলকাতা: বুধবার রাতে আইনজীবী মারফৎ সিবিআইকে ইমেল করে নিজেই নিজাম প্যালেসে যেতে চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ছ’বারের নোটিসের পর বৃহস্পতিবার গরুপাচার কাণ্ডে প্রথমবারের জন্য সিবিআইয়ের মুখোমুখিও হন তিনি। ঘণ্টা চারেকের জিজ্ঞাসাবাদপর্ব কাটিয়ে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে ফেরার আগে ঢুঁ মেরে যান এসএসকেএমের উডবার্ন ব্লকে। এরইমধ্যে সপ্তমবারের জন্য নোটিস গেল অনুব্রত মণ্ডলের কাছে। গরুপাচারকাণ্ডে আবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থার। আগামী বুধবার তাঁকে নিজাম প্যালেস তলব করা হয়েছে। শুধু তলবই নয়, অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেশ কিছু নথি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে অনুব্রতকে। এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, সপ্তমবারের তলবে হাজিরা নাও দিতে পারেন বীরভূমের ‘কেষ্ট’ মণ্ডল।
কারণ হিসাবে দেখানো হতে পারে, শারীরিক অসুস্থতাকে। অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, এই মুহূর্তে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা দীর্ঘক্ষণ সিবিআই অফিসে বসে থাকার জন্য অনুকূল নয়। সে কথা জানিয়েই হাজিরা এড়াতে পারেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, আগামী বুধবার বেশ কিছু নথি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। সেই নথির মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, পাঁচ বছরের আইটি রিটার্নের প্রমাণ।
বৃহস্পতিবার প্রায় চার ঘণ্টা সিবিআই দফতরে ছিলেন অনুব্রত। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে একটিও কথা বলেননি তিনি। তবে মনে করা হচ্ছে, যেহেতু গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হককে জেরা করে অনুব্রতের নাম উঠে এসেছে, তাই এনামুলের সঙ্গে অনুব্রতর আদৌ কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তা জানতে চাইতে পারেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে এনামুল ও তাঁর মধ্যে আর্থিক কোনও লেনদেন হয়েছে কি না বা গরুকাণ্ডে অনুব্রতর কাছে কোনও তথ্য রয়েছে কি না সবটাই জানার চেষ্টা করতে পারে সিবিআই।
নিজাম প্যালেস থেকে এদিন সোজা অনুব্রত মণ্ডলের কালো এসইউভি ঢুকে পড়ে এসএসকেএমে। প্রথমে এমার্জেন্সি বিভাগ, সেখান থেকে উডবার্ন ব্লকে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। যদিও কিছুক্ষণ পরেই জানা যায়, অনুব্রত মণ্ডলকে সেখানে ভর্তি করা হচ্ছে না। তবে ২১১ নম্বর কেবিনে রাখা হয়। নিয়মমাফিক চেক আপের জন্যই অনুব্রত যান বলে খবর। বিকেলে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার সময় অনুব্রত শুধু বলে যান, ‘শরীর ভাল নেই’। এরইমধ্যে খবর আসে বুধবার আবারও যেতে হবে, এসেছে তলব।