Cyclone Asani: অভিজ্ঞতা আছে ইয়াস-আমফানের, অশনি নিয়ে জোর প্রস্তুতি বিমানবন্দরে
Asani: ইয়াস ও আমফানের অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখেই সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেই বিমানবন্দর সূত্রে খবর।
কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রাবল্য নিয়ে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না ঠিকই। হতে পারে মাঝ সাগরে শক্তি হারাতে পারে। এমনও হতে পারে ওড়িশা উপকূলের সমান্তরাল এগোতেই খর্ব হতে পারে দাপট। তবে পরবর্তী পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তীব্র ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই দু’বার বৈঠক করেছে তারা। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, দমকল বিভাগ, বিভিন্ন বেসরকারি বিমান সংস্থা এবং আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে এই বৈঠক হয়। ইয়াস ও আমফানের অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখেই সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেই বিমানবন্দর সূত্রে খবর। ট্যাক্সিওয়ে ও রানওয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। বিমান দাঁড়ানোর হ্যাঙ্গারেও বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিমান বন্দরের আবহাওয়া সংক্রান্ত বিষয়টি দেখার জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর ও মৌসম ভবনের সঙ্গে সেই বিভাগ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। ইয়াসের সময় প্রবল ঝড়ে বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার ভেঙে পড়ে। কলকাতা বিমানবন্দরের পাম্পিং স্টেশনে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ঝড়ের প্রভাব যদি নাও পড়ে, বৃষ্টি হলে জল জমার চিন্তাও থাকে। পাম্পিং স্টেশনগুলির ভূমিকা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে কলকাতায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রিভার ট্র্যাফিক সকাল থেকেই গঙ্গাবক্ষে প্রচার চালাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই উপকূলের দিকে এগোচ্ছে অশনি। তবে সাগরে শক্তি হারাতে পারে তা। সে সময় তীব্র ঘূর্ণিঝড় পরিণত হবে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে। শুক্রবার পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।