DA Case in High Court: ডিএ নিয়ে রাজ্যকে নিশানা অধীর-সেলিমদের, পাল্টা তোপ কুণালেরও
DA: ডিএ পাওয়া সরকারি কর্মীদের মৌলিক অধিকার। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতা: ডিএ মামলায় শুক্রবার হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। এদিন আদালত জানিয়ে দেয় স্যাটের রায়ই বহাল থাকবে। স্যাটের নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিল রাজ্য। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, স্যাটের রায়ই যথাযথ ছিল। ডিএ পাওয়া সরকারি কর্মীদের মৌলিক অধিকার। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে বলা হয় ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া মেটাতে হবে। আদালতের এই নির্দেশ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের দাবি, দিনের পর দিন কেন্দ্র রাজ্যকে বকেয়া টাকা দিচ্ছে না। ভুললে চলবে না, রাজ্য সরকার সরকারি কর্মীদের জন্য যথেষ্টই ভাবনাচিন্তা করে। যদিও কংগ্রেস-সিপিএম একযোগে বিঁধেছে শাসকদলকে। তাদের দাবি, সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য টাকা সরিয়ে নয়ছয় করা হচ্ছে। আদালতের রায়কে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপিও।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “টাকা তো দিতেই হবে। ডিএ তো কর্মীর অধিকার। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়া নয়। চাকরির শর্তে ডিএ। অধিকারের জন্য মানুষগুলো লড়ছে। এ টাকা দিতেই হবে। তার জন্য ভাঁড়ারে কী আছে না আছে দেখার তো দরকার নেই। পশ্চিমবঙ্গের সরকার চালানোর জন্য সাড়ে ৪ লক্ষ কোটি টাকা ধার করে বসে আছেন ইতিমধ্যেই। আরও কিছু ধার না হয় করবেন। কিন্তু মানুষের অধিকার তো মানুষকে ফেরত দিতেই হবে। কেউ তো কোনও অন্যায় দাবি করছে না।”
অন্যদিকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এবার বলুক কোর্টকে যা বলার। পুলিশ, মাস্টারমশাই, সরকারি কর্মচারি, আধা সরকারি কর্মচারি, পঞ্চায়েত, পুরসভা কর্মচারিদের তাঁদের কোটি কোটি টাকার ডিএ বকেয়া আছে। সরকার সেগুলো লুঠ করছে। একটা দেখানোর প্রশাসনিক বৈঠক করে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করছেন।” বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, “প্রায় সব সরকারি কর্মচারি এই আন্দোলন করেছেন। কোর্টে লড়াইও করেছেন।”
যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্য সরকার সবসময়ই সরকারি কর্মীদের কথা ভেবে চলে। বহু প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যা যা পদক্ষেপ করার করেছে। একটাই কথা মনে করাতে চাই, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের যে বকেয়া, ৯৭ হাজার কোটি টাকার বেশি তা দিয়ে দিক। কোর্টের রায় নিয়ে আমার এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য নেই।”