Jagdeep Dhankhar wrote CS: কোন কোন সাংসদ-বিধায়কের ক্রিমিনাল কেস প্রত্যাহার হয়েছে, এবার সেই তালিকা তলব রাজ্যপালের

Jagdeep Dhankhar: হঠাৎ করে রাজ্যপালের এই রিপোর্ট তলব নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু করেছে।

Jagdeep Dhankhar wrote CS: কোন কোন সাংসদ-বিধায়কের ক্রিমিনাল কেস প্রত্যাহার হয়েছে, এবার সেই তালিকা তলব রাজ্যপালের
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2022 | 5:45 PM

কলকাতা: সাংসদ, বিধায়কদের উপর থেকে রাজ্য সরকার কতগুলি মামলা তুলে নিয়েছে, তার বিস্তারিত চাইলেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিবের কাছ থেকে এই হিসাব তলব করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার টুইটারে নিজেই সে কথা জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ২০১১ সালের ১ মে থেকে রাজ্য সরকার যে সমস্ত সাংসদ ও বিধায়কের বিরুদ্ধে চলা ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে, তারই বিস্তারিত রিপোর্ট চাইলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে। আগামী ১১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজভবনে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিন রাজ্যপাল টুইটারে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে। ২০২১ সালের ১ মে থেকে এখনও অবধি এ রাজ্যের সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে চলা যে সমস্ত অপরাধমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে তা জানাতে বলা হচ্ছে। ১১ জুলাই ২০২২-এর মধ্যে এই তথ্য জমা দিতে হবে।’

হঠাৎ করে রাজ্যপালের এই রিপোর্ট তলব নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু করেছে। প্রসঙ্গত গত ১ বছর ১ মে এ রাজ্যের প্রশাসনিক ভার ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। ২ মে ছিল বিধানসভার ফল প্রকাশ। এরপরও নিয়মমাফিক কমিশনের হাতেই রাজ্যের প্রশাসন ছিল। এদিকে একুশের ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিরোধী শক্তি বিজেপি ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তোলে। এক বছর পার করেও সেই সমস্ত অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তবে এই সময়ের মধ্যে কোন কোন বিধায়ক বা সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না সে তালিকা এখনও সুস্পষ্ট নয়।

এই টুইটের সঙ্গে মুখ্যসচিবকে পাঠানো তাঁর চিঠির একটা অংশ আপলোড করেন। যেখানে তারিখ লেখা রয়েছে ২৯ জুন, ২০২২। অর্থাৎ বুধবারই এই চিঠি মুখ্যসচিবকে পাঠানো হয়েছে। সেখানে মূলত দু’টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।

১. সাংসদ, বিধায়কদের নামে প্রত্যাহার করা মামলার বিস্তারিত জমা দিতে হবে

২. মুখ্যসচিব বারবার রাজভবনকে তথ্য দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। অল ইন্ডিয়া সার্ভিসের বিধি তাতে ভঙ্গ হচ্ছে। মুখ্যসচিব যেন এবার নিশ্চিত করেন, আগামী ১১ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত তথ্য রাজভবনে পৌঁছবে। একইসঙ্গে ব্যাখ্যা করতে হবে, কেন বারবার তথ্য দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।