TET: পরীক্ষা দিয়েছিলেন দিলীপ-সুজনরা, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে জানালেন পর্ষদের আইনজীবী
TET: পর্ষদের আইনজীবী জানান, দু'জন দিলীপ ঘোষ, একজন সুজন চক্রবর্তী, তিনজন গৌতম পাল রয়েছেন তালিকায়। কুণাল ঘোষ, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সকলেই আসল পরীক্ষার্থী।
কলকাতা: পর্ষদ টেট (TET) উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করতেই হইচই পড়ে যায় বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সেই তালিকায় দেখা যায় টেট পাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, গৌতম পাল, শুভেন্দু অধিকারী, কুণাল ঘোষরা। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, এই তালিকার যথার্থতা নিয়ে। বিরোধীরা সরব হয়। তড়িঘড়ি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল (তালিকায় রয়েছে তাঁর নামও) সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, এই নামের সঙ্গে কোনও হেভিওয়েট ব্যক্তির নামের মিল থাকলেও বাস্তবে এটা ‘নেমসেক’। অর্থাৎ একই নামে একাধিক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার আরও একবার সেই কথাই আদালতে জানালেন পর্ষদের আইনজীবী। এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। সেখানেই পর্ষদের আইনজীবী জানান, এখানে নাম বিভ্রাট হয়নি। সকলেই আসল টেট পরীক্ষার্থী।
পর্ষদের আইনজীবী জানান, দু’জন দিলীপ ঘোষ, একজন সুজন চক্রবর্তী, তিনজন গৌতম পাল রয়েছেন তালিকায়। কুণাল ঘোষ, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সকলেই আসল পরীক্ষার্থী। পর্ষদের আইনজীবীর এই মন্তব্যে হেসে ফেলেন বিচারপতি। বলেন, ‘তাহলে এখন আমাদের তিনজন দিলীপ ঘোষ’। একইসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, এখন প্রাথমিক পর্ষদ খুব ভাল কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, এই নাম বিভ্রাটের ব্যাখ্যায় সোমবার পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন, “এমনভাবে বিষয়টা উপস্থাপন করা হচ্ছে যেন কেউ এই নামগুলো ঢুকিয়ে দিয়েছে। এটা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, ফোন নম্বর-সহ তালিকা দিয়ে দিতে পারেন তিনি। কেউ চাইলে টেলিফোন করে যোগাযোগও করতে পারেন। একইসঙ্গে গৌতম পালের ব্যাখ্যা ছিল, “আমার নামেই তো তিনজন আছেন। তাঁদের বাবার নাম প্রয়াত বিজয় পাল, আরেকজনের বাবা প্রাণনাথ পাল, আরেকজনের বাবা গোপাল পাল। তাঁদের টেলিফোন নম্বর আছে। সুজন চক্রবর্তীর বাবা স্বপন চক্রবর্তী। তাঁরও মোবাইল নম্বর আছে। এক নাম কি আমারই থাকবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। তাঁর বাবার নাম মথুরানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গতবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। মোবাইল নম্বরও আছে। নট এমপ্যানেলড। তাহলে কী করে আমরা ভেবে নিচ্ছি এক নাম মানেই এক ব্যক্তি?”